নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের সাম্যের অধিকারের পরিপন্থী। এই যুক্তিতে সিএএ-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন কেরল সরকার।  প্রসঙ্গত, প্রথম রাজ্য হিসেবে এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেরল। ইতিমধ্যে, বহু রাজ্য সিএএ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কিন্তু, কেরল সরকার প্রথম নিজ বিধানসভায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করে। আর এদিন প্রথম রাজ্য হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হল তারা।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আবেদনে কেরল জানিয়েছে, ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার মূল কাঠামো ও সংবিধানের ১৪, ২১ ও ২৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হল এই সিএএ। নাগরিকত্ব আইনের পাশাপাশি পাসপোর্ট আইন ও বিদেশি আইনের বিরুদ্ধেও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেরলের এলডিএফ সরকার।

আবেদনে কেরলের তরফে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ সাম্যের অধিকারের কথা বলে। অন্যদিকে, ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইন প্রতিষ্ঠিত নিয়ম ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে তাঁর জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অন্যদিকে, ২৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সব ব্যক্তির সমান বিবেক স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ায় নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পাশ করে কেরল বিধানসভা। সেখানে প্রস্তাব আনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইউডিএফ। তাকে সমর্থন করে বাম-শাসিত এলডিএফ। এরপর, দেশের ১১টি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে একইরকম পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন।  সকলকে তিনি গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
চিঠিতে বিজয়ন লেখেন, নিজেদের যাবতীয় বিভেদ ঘুচিয়ে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ ভারতীয় গণতন্ত্রের এই স্তম্ভকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই চালিয়েছেন।