নয়াদিল্লি: ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট কাজের সময়ে গিয়ে উঠতে পারেননি। অথচ টাকাটা আজই জমা করা দরকার। অথবা ছুটির দিনে আপনার হাতে অন্য কোনও কাজের চাপ নেই। তাই দৌড়লেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে। মনে রাখবেন এই দু’টি ক্ষেত্রেই কিন্তু টাকা জমা করার চার্জ হিসেবে লেনদেন প্রতি ব্যাঙ্ক বাড়তি টাকা নেবে। পয়লা নভেম্বর থেকে এই নিয়ম চালু করেছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে আপনি যদি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের গ্রাহক হন তাহলে গাঁটের কড়ি কিছুটা বাড়তি খরচ হবে।


গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ছুটির দিন বা সপ্তাহের অন্য দিনে সন্ধে ৬টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে ক্যাশ অ্যাকসেপ্টর বা রিসাইক্লার মেশিনে টাকা জমা করলে, লেনদেন প্রতি ৫০ টাকা করে লাগবে। কোনও মাসে জমা করা টাকার অঙ্ক ১০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়  তাহলেই এই কনভিনিয়্যান্স চার্জ দিতে হবে। একবারে বা বারবার জমা উভয় ক্ষেত্রেই এই চার্জ প্রযোজ্য।

গ্রাহক বা ছোট ব্যবসায়ী, বা দোকানদাররা অনেক সময়ই রিস্লাইকার মেশিনের মাধ্যমে টাকা জমা করে থাকেন। দোকান বা ব্যবসা ফেলে ব্যাঙ্কে যাওয়ার মতো ফুরসৎ অনেক সময় হয় না সকলের। তাঁদের ক্ষেত্রে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা বাড়তি চাপ।

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক যেমন কনভিনিয়্যান্স চার্জ বসিয়েছে তেমন প্রায় সব ব্যাঙ্কই ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়িয়েছে। অর্থাৎ ঋণ শোধ করতে যদি দেরি হয় তাহলে ব্যাঙ্ক চার্জ নেবে। ঋণ পুনরুদ্ধারে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যেমন ৩৫ বেসিস পয়েন্ট অতিরিক্ত চার্জ নিচ্ছে। আবার বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি ৫০ বেসিস পয়েন্ট করে অতিরিক্ত চার্জ নিচ্ছে।  তার মানে হল কোনও গ্রাহক যদি ৮ শতাংশ হারে গৃহঋণ নিয়ে থাকেন, এবং তিনি যদি সময়ে তা শোধ করতে না পারেন, তাহলে স্টেট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৮.৩৫ শতাংশ ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৮.৫০ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

তবে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে প্রসেসিং ফি, বা ঋণ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে চার্জ বৃদ্ধি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

যদিও সম্প্রতি কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছিল করোনা-কালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকা তোলা ও জমার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া যাবে না। অর্থমন্ত্রকের নির্দেশিকার পরে ব্যাঙ্ক অব বরোদা চলতি বছরের নভেম্বর থেকে টাকা জমা ও তোলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও তা থেকে পিছু হটেছিল।