কলকাতা: নারদকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার পরেই গ্রেফতারি। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাঁকে নিয়ে যায় সিবিআই।
সূত্রের খবর, পরপর ৭ বার জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় মির্জাকে । আজ সকালেও মির্জাকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়। নিজাম প্যালেসে যাওয়ার পরেই গ্রেফতার মির্জা।
মির্জাকে ৫দিনের জন্য হেফাজতে চায় সিবিআই। সিবিআই হেফাজতের বিরোধিতায় সওয়াল করে মির্জার আইনজীবী বলেন,‘রাজ্যে কর্মরত অফিসার, পালিয়ে যাচ্ছেন না তো!’ শেষপর্যন্ত আদালত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মির্জার সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

আদালতে পেশ করার আগে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।। এরপর তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়।


সিবিআই তাঁর উপর নজর রাখছিল বেশ কিছুদিন ধরে। সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে যে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার দরকার ছিল, তা সংগ্র্হ করেছে সিবিআই। নারদকাণ্ডে স্টিং ফুটেজ হাতে পাওয়ার পর থেকেই সক্রিয় হয় সিবিআই। বারাসাতের নিম্ন আদালতের নির্দেশ অনুসারে এই মামলায় অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনের কণ্ঠস্বরের নমুনাও পরীক্ষা করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, মির্জার গলার স্বরের সঙ্গে ভিডিওর কণ্ঠস্বরের প্রাথমিকভাবে মিল পাওয়া গিয়েছে।
নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে তত্কালীন বর্ধমানের পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। কেন তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন, কারও নির্দেশে টাকা নিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে তাঁকে আগে ৭ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে, তাঁর বয়ানে যথেষ্ট অসঙ্গতি ধরা পড়ে।
২০১৪ সালে ম্যাথু স্যামুয়েল ব্যবসায়ী সেজে স্টিং অপারেশন করেছিলেন বলে দাবি করেন। পরে ২০১৬ সালে সেই স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। তাতে রাজ্যের বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীদের টাকা নিতে দেখা যায়। টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল এসএমএইচ মির্জার মতো পুলিশ কর্তাকেও।তৃণমূল যদিও ম্যাথুর এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। স্টিং অপারেশন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্তে নামে সিবিআই।
মির্জার গ্রেফতারি প্রক্রিয়া আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল, তাহলে সিবিআইয়ের উপর আস্থা বাড়ত মানুষের, মত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
'কে কোথায় গ্রেফতার করল, তা নিয়ে মন্তব্য করা কি উচিত আমার?' , বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।