রাত ২টো ৫১ মিনিটে চন্দ্র অভিযানের কাউন্টডাউন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে রাত ১টা ৫৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার মিশন কন্ট্রোল সেন্টার জানিয়ে দেয়, অভিযান আপাতত স্থগিত। ইসরোর জন সংযোগ দফতরের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর বি আর গুরুপ্রসাদ জানান, চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণকারী যান জিএসএলভিএমকে৩-এম ১-এ কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে সাবধানতার কারণে চন্দ্রযান ২ যাত্রা এই মুহূর্তে বন্ধ রাখা হল। নতুন যাত্রার তারিখ পরে জানানো হবে।
ইসরো আগে ঠিক করেছিল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চন্দ্রযান ২ চাঁদে পাড়ি দেবে। কিন্তু পরে তারিখ এগিয়ে পিছিয়ে দিয়ে ১৫ জুলাই করে তারা। চন্দ্রযানের ওজন ৩,৮৫০ কেজি, এর মধ্যে একটি অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার রয়েছে। সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ স্টেশন থেকে যানটির চাঁদে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। উৎক্ষেপণের সাক্ষী হতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ শ্রীহরিকোটা গিয়েছিলেন।
এর আগে ৩১২ দিন ধরে ৩,৪০০ বারেরও বেশি চন্দ্র প্রদক্ষিণ করেছে চন্দ্রযান ১। ২০০৯-এর ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত কার্যকরী ছিল সেটি। চন্দ্রযান ১-এর সফল অভিযানের ১১ বছর পর ইসরো চাঁদে পাঠাতে চলেছে চন্দ্রযান ২। এর নামার কথা ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। ৯৭৮ কোটি টাকার এই যানকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করত জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকল জিএসএলভিএমকে৩-এম ১, যার ডাক নাম বাহুবলী। চাঁদে নামতে চন্দ্রযানের সময় লাগার কথা ছিল ৫৪ দিন। ইসরোর সব থেকে জটিল ও সম্মানীয় প্রকল্প হিসেবে গণ্য এই চন্দ্রযান ২। এটি সফল হলে ভারত রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে রোভারের সফট ল্যান্ড করার সম্মান অর্জন করবে।