নয়াদিল্লি: ২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তীসগঢ় তৈরির পর প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। তারপর থেকে টানা ১৫ বছর ধরে এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এই রাজ্যে ফের কি পদ্ম ফোটাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ? না, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাজে লাগে ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেস? গোটা দেশ তাকিয়েছিল সেইদিকে। টাইমস নাউ ও সিএনএক্সের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ৯০ আসনের ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি পেতে পারে ৪৬টি আসন। মাত্র ১১টি আসন পিছিয়ে থেকে কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৫টি আসন। বিএসপি ৭টি এবং অন্যান্যরা ২টি আসন পেতে পারে ছত্তীসগঢ়ে। অর্থাৎ এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে বিজেপি।


অপরদিকে, ইন্ডিয়া টুডে এবং অ্যাক্সিসের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ের ৯০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে ৫৫ থেকে ৬৫টি আসন। বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২১ থেকে ৩১টি। অন্যান্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন। অর্থাৎ এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ে এবার বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে কংগ্রেস।

রিপাবলিক টিভি ও সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ে বিজেপি পেতে পারে ৪৬টি আসন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৩৯টি আসন। অন্যান্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে ৫টি আসন। অর্থাৎ এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ে লাগাতার চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।

আবার রিপাবলিক টিভি ও জন কি বাত-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৪৪টি আসন। সামান্য পিছনে থেকে কংগ্রেস পেতে পারে ৪০টি আসন। অন্যান্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে ৬টি আসন। অর্থাৎ এই সমীক্ষা অনুযায়ী, কংগ্রেসের কড়া টক্কর সত্ত্বেও ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি।

৫ রাজ্যের নির্বাচনে একমাত্র দু’দফায় ভোট হয়েছিল এই ছত্তীসগঢ়েই। এই ভোটে কে ক্ষমতায় আসবে, তা জানা যাবে ১১ ডিসেম্বর।