কলকাতা:  শনিবার তৃণমূল নেতার অভিজাত আবাসনে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত ছিল চিত্‍পুর থানা এলাকার পাইকপাড়া। মৃতের নাম আব্দুল হোসেন,  ওরফে সেন্টিয়া। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই কুখ্যাত দুষ্কৃতী, পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড  তালিকায় রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হুগলির ভদ্রেশ্বর থানায় একাধিক খুন ও তোলাবাজির মামলা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ফ্ল্যাটটির মালিক তৃণমূল নেতা তথা মালদার জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের স্বামী মহম্মদ ইয়াসিন। আবাসিকদের দাবি, শনিবার সকালে ফ্ল্যাটে বসে মদের আসর। ব্যাপক চিত্‍কার চেঁচামেচি, জিনিসপত্র ভাঙচুরের আওয়াজ পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মদের আসরে উপস্থিত ছিলেন, এক পুলিশকর্মী, তৃণমূল নেতার গাড়ি চালক, রাঁধুনি ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী আব্দুল হোসেন। আনা হয় দুই যৌনকর্মীকেও।


আবাসিকদের দাবি, মধ্যরাতে প্রচণ্ড চিত‍্‍কার চেঁচামেচির মধ্যেই, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এক যৌনকর্মী। বাইরে থেকে আটকে দেন ফ্ল্যাটের দরজা। তাঁর চিত্‍কারে ছুটে আসেন আবাসনের বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

পুলিশ আসতেই চারতলার আবাসনের জানালা থেকে ঝাঁপ মারে কুখ্যাত দুষ্কৃতী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিত্‍সকরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মদের বোতল। সিগারেট। মিলেছে ভাঙা মদের বোতল। রক্তারক্তির চিহ্ন। এরপর ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত থাকা এক পুলিশকর্মী, গাড়ি চালক, রাঁধুনি ও দুই যৌনকর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই গ্রেফতার করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল সহ ৩ জনকে। যৌন কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার। ধৃতদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মারধর, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু কাশীপুর থানার পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটটির মালিক তৃণমূল নেতা তথা মালদার জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের স্বামী মহম্মদ ইয়াসিন।