পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রশাসকদের কমিটির প্রধান বিনোদ রাই এবং দুই সদস্য ডায়ানা এডুলজি ও রবি থোড়গে প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই টুর্নামেন্টের নীল নকশাও তৈরি করতে পারেন বলে খবর।
সিওএ প্রধান বিনোদ রাই বলেছেন, ‘ছুটির পরই অধিনায়ক ও কোচকে নিয়ে পারফরম্যান্স পর্যালোচনায় বসব। কোনও সময়সীমা বা নির্দিষ্ট তারিখের কথা এখনই বলছি না, তবে আলোচনায় বসা হবে অবশ্যই। প্রধান নির্বাচকের সঙ্গেও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলা হবে।’
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর বিরাটরা দেশে ফেরার বিমানে উঠছেন আগামী রবিবার। আসন্ন বৈঠক নিয়ে বিনোদ রাই বিশদে কিছু বলতে না চাইলেও জানা গিয়েছে, অম্বাতি রায়াডুর ব্যাপারে শাস্ত্রী-কোহলি ও নির্বাচক কমিটির প্রধানকে প্রশ্ন করা হতে পারে। জানতে চাওয়া হতে পারে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হোম সিরিজে রায়াডু দলের নিয়মিত ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে বিশ্বকাপের দলে রাখা হল না। দলে তিন উইকেটকিপারের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। বিশেষ করে দীনেশ কার্তিককে নিয়ে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে দীর্ঘদিন তেমন কিছু করেননি কার্তিক। আইপিএলেও ছন্দে ছিলেন না।
সেমিফাইনালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে ৫ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও কেন ধোনিকে সাত নম্বরে পাঠানো হল, জানতে চাওয়া হতে পারে।
কোপের মুখে পড়তে পারে নির্বাচক কমিটি। বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা না হওয়া পর্যন্ত সম্ভবত এই পাঁচ সদস্যের কমিটিই দায়িত্বে থাকবে। তবে দেবাঙ্গ গাঁধী ও শরণদীপ সিংহের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নন অনেকেই। ভারতের প্র্যাক্টিসে জাতীয় দলের জার্সি পরে শরণদীপ মাঠে থাকায় বিতর্ক দানা বেঁধেছিল।