মুম্বই: যোগাযোগের অভাব বা কমিউনিকেশন গ্যাপ। তাই দ্রোণাচার্য রমাকান্ত আচরেকরের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করা হয়নি। মহারাষ্ট্রের গৃহমন্ত্রী প্রকাশ মেহতা এই সাফাই গাইলেন। তবে বিষয়টি দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।


গতকাল মধ্য মুম্বইয়ের দাদারের শিবাজি পার্কের বাড়িতে প্রয়াত হন ৮৭ বছরের আচরেকর, সচিন তেন্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলি, প্রবীণ আমরের মত ছাত্রদের তৈরি করেছিলেন যিনি। ছাত্ররাই অকৃতদার গুরুর দেহ কাঁধে করে নিয়ে যান শ্মশানঘাটে। কিন্তু ক্ষুব্ধ ছাত্ররা প্রশ্ন তোলেন, কেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য হল না, তিনিও তো প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মত পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন। জবাবে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, প্রয়াত ব্যক্তি কোনও সরকারি সম্মান পেয়েছেন কিনা তার ওপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য নির্ভর করে না। যখন কোনও পরিচিত ব্যক্তিত্ব প্রয়াত হন, তখন পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে, তাঁর শেষকৃত্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে কিনা। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সরকার দাবি করেছিল, এ বিষয়টি পুরোপুরিই মুখ্যমন্ত্রী দেখেন।

গৃহমন্ত্রী প্রকাশ মেহতা অবশ্য এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আচরেকরের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, এর কারণ কমিউনিকেশন গ্যাপ। শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য আজ সকালে তাঁকে সেক্রেটারিয়েট থেকে জানানো হয়। আবার জলসম্পদ রক্ষা মন্ত্রী রাম শিন্ডে বলেছেন, বুধবার রাতেই যদি তাঁকে এ ব্যাপারে জানানো হত, তবে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করতেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অফিসই সাধারণত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

আবার মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের অফিস জানিয়েছে, আচরেকরকে গান স্যালুট দেওয়া নিয়ে প্রোটোকল বিভাগ তাদের কিছু বলেনি। তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে ফাইল পাঠায়, মুখ্যমন্ত্রী তাতে স্বাক্ষর করে দেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনও ফোন আসেনি বলে জানিয়েছে তারা।