বারুইপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে তৃণমূলের জনসভা থেকে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ফিরহাদের নিশানায় বিজেপি-র পাশাপাশি ছিল মিম-ও।


ফিরহাদ বলেন, ‘হায়দরাবাদের পার্টিকে এনে ভোট ভাগ করতে চাইছে। বাংলার মানুষ এত বোকা নয়। অনেকে ভাবছে ভাইজান এলে নতুন হয়তো কিছু হবে। কিন্তু ওদের পক্ষে গেলে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারা হবে। সাম্প্রদায়িকতা কখনও উন্নয়ন দিতে পারে না। তাই বাংলার মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই থাকবেন। কেউ কেউ বলছে বাংলাকে গুজরাত বানাবে। গুজরাতে ২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সবক্ষেত্রেই গুজরাতের থেকে বাংলা অনেক এগিয়ে। আমরা বাংলাকে গুজরাত করতে চাই না। চম্বলের ডাকাত ঠিক করবে মানুষ কাকে ভোট দেবে! মানুষের সেবা করতে চাইলে মমতার সঙ্গে থাকুন।’

মিমি বলেন, ‘জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য কেউ কেউ অশালীন কথা বলছে। দলিত মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারল, নিরাপত্তা পেল অভিযুক্তরা। রাম-রহিম দিয়ে তো ভোট হয় না। বাংলা এই ভয়ের কাছে মাথানত করবে না।’

অন্যদিকে, মেদিনীপুরে মমতার সভার আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খড়গপুরে বানচাল তৃণমূলের পথসভা। যুব তৃণমূল নেতাকে চড় মারার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেদিনীপুরের জনসভার সমর্থনে গতকাল খড়গপুর শহরে পথসভার আয়োজন করে যুব তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, সভা পণ্ড করতে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র দেবাশিস চৌধুরীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। যুব তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকে তিনি চড় মারেন। মারধরের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। এলাকার শান্তি নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, দাবি বিজেপির। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। ভাইরাল ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।

শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা চলছে। তারই মধ্যে জল্পনার আবর্তে চলে এলেন রাজ্যের আরেক হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা তৃণমূলের তরুণ মুখ, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁরা স্তাবক বলে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন স্তাবকতার যুগ। হ্যাঁ তে হ্যাঁ আর না তে না মেলাতে হবে।’ শনিবার এই মন্তব্য করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন বনমন্ত্রী। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁর সমর্থনে পোস্টার পড়ল উত্তর কলকাতার নানা জায়গায়! কোনও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টারে লেখা সততার প্রতীক। কোনও পোস্টারে লেখা কাজের মানুষ, কাছের মানুষ।

শুভেন্দুর পর রাজীবকে নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই তাঁকে দলে আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এই নিয়ে পাল্টা বিজেপির দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বনমন্ত্রীর মানভঞ্জনে তৎপর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এক সিনিয়র মন্ত্রী-সহ রাজ্যস্তরের দুই নেতা কথা বলছেন রাজীবের সঙ্গে। গোটা ঘটনা নিয়ে বনমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন রাজীবের অসন্তোষ মেটাতে চাইছে, তখন নাম না করে তাঁকে নিশানা করেছেন হাওড়ার রাজনীতিতে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত অরূপ রায়।

শুভেন্দুর পর এবার রাজীব! আরও এক হেভিওয়েট মন্ত্রীকে নিয়ে টানাপড়েন শুরু হতেই, ফের কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।