পাকিস্তানে যাওয়া দেশদ্রোহ হলে প্রধানমন্ত্রী কি দেশদ্রোহী? সিধুর সফর নিয়ে পাল্টা আক্রমণ কংগ্রেসের
Web Desk, ABP Ananda | 20 Aug 2018 06:34 PM (IST)
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পঞ্জাবের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিংহ সিধুর যাওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে এবার পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে কংগ্রেস প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে, ‘পাকিস্তানে যাওয়া যদি দেশদ্রোহ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীও কি দেশদ্রোহী?’ মোদীর পাক-নীতির বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করারও দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। ইসলামাবাদে গিয়ে ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে বসেন সিধু। তিনি পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গনও করেন। দেশে ফিরে এর সাফাই দিলেও, এই ইস্যুতে সিধুর পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীরও সমালোচনা করেছে বিজেপি। আজ তারই পাল্টা কংগ্রেস বলেছে, ‘সিধু ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানে যাওয়া যদি দেশদ্রোহ হয়, তাহলে সবার আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশদ্রোহী। প্রধানমন্ত্রী যখন পাকিস্তানে গিয়ে বিরিয়ানি খান এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পাক হাই কমিশনে গিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করেন, তখন জাতীয়তাবাদের কথা মনে করিয়ে দেওয়া উচিত।’ মোদীকে আক্রমণ করে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিল বলেছেন, ‘পাকিস্তান প্রসঙ্গে সব দল ও দেশের সব মানুষের এক সুরে কথা বলা উচিত। কিন্তু এই সরকারের পাক-নীতি জিলিপির মতো। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজেপি-র মুখপাত্ররা বলেন, পাকিস্তানকে কেটে ফেলব, উচিত শিক্ষা দেব। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ নীতি বদলে যায়। পাকিস্তানের বিষয়ে নীতি কী, সেটা স্পষ্ট করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি একবার পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেন, আবার বিনা নিমন্ত্রণে পাকিস্তানে বিয়েতে চলে যান, আইএসআই-এর লোকজনকে এখানে ডেকে পাঠান। জাতীয়তাবাদের কথা বলার বদলে পাকিস্তানের বিষয়ে নীতি স্পষ্ট করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।’ সিধুর পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শেরগিল বলেছেন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।