বেঙ্গালুরু: পি চিদম্বরমের পর এবার ডিকে শিবকুমার। কংগ্রেসের আরেক হেভিওয়েট নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।


আর্থিক প্রতারণা মামলায় এবার কর্নাটকের প্রথমসারির কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার চতুর্থবার জিজ্ঞাসাবাদের পর শিবকুমারকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। সংস্থার এক আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে শিবকুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই আধিকারিক বলেছেন, প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন শিবকুমার এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন না তিনি।
কর্নাটক হাইকোর্টে গ্রেফতারি থেকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত শুক্রবার প্রথমবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছিলেন কর্নাটকের এই প্রাক্তন মন্ত্রী।
২০১৬-তে নোটবন্দির পর থেকেই আয়কর বিভাগ ও ইডি-র নজরে ছিলেন শিবকুমার। ২০১৭-তে তাঁর দিল্লির ফ্ল্যাটে আয়কর তল্লাশিতে নগদ ৮.৫৯ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এরপর আয়কর বিভাগ শিবকুমার ও তাঁর চার অন্য সহযোগীর বিরুদ্ধে ১৯৬১-র আয়কর আইনের ২৭৭, ২৭৮ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৩ ও ১৯৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছিল।
আয়কর বিভাগের চার্জশিটের ভিত্তিতে ইডি শিবকুমারের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করে। তাঁর ও রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শিবকুমার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে নিশানা করেছেন।

শিবকুমার কর্ণাটক কংগ্রেসের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসাবে পরিচিত। গত বছর মে মাসে কর্ণাটকে বিজেপি সরকারের পতনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন  শিবকুমার।কংগ্রেসের সব বিধায়ককে একজোট রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনিই।মাস দু’য়েক আগে কর্ণাটকে কংগ্রেসের জোট সরকার রক্ষা করতেও ঝাঁপিয়ে ছিলেন তিনিই।কিন্তু শেষ অবধি পতন ঘটে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের।

সম্প্রতি তাঁকে ইডির দিল্লি তলবের পরই গ্রেফতারির জল্পনা জোরদার হয়।শিবকুমারের মতো শীর্ষ নেতার গ্রেফতারির মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই দেখছে কংগ্রেস।

পাল্টা বিজেপির দাবি, তদন্ত তার নিজের গতিতে এগোচ্ছে।গ্রেফতারি প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে ট্যুইট করে কংগ্রেস নেতা শিবকুমার বলেছেন,বিজেপির বন্ধুদের অভিনন্দন জানাই, শেষপর্যন্ত তাঁরা আমাকে গ্রেফতারের মিশনে সাফল্য পেলেন।আমার বিরুদ্ধে ইডি এবং আই’র মামলা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার।
শিবকুমারের গ্রেফতারির খবর পেতেই দলে দলে তাঁর সমর্থক ইডির অফিসারের বাইরে হাজির হন। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।