নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে ভারত অত্যাচার, দমনপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে সরব পাকিস্তান যখন এ ব্যাপারে ভারতকে বিপাকে ফেলার লক্ষ্যে ফের শোরগোল তুলতে চাইছে, তখন তাদের অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন আন্তর্জাতিক ন্যয় আদালতে (আইসিজে) তাদেরই আইনজীবী খাওয়ার কুরেশি। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই ভারতকে হুমকি দিয়েছে, তারা জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিষয়টি আইসিজে-তে তুলে বলবে, কাশ্মীরে ভারত দমনপীড়ন চালাচ্ছে। কিন্তু প্রকাশ্যেই কুরেশি মেনে নিয়েছেন, এই অভিযোগের সমর্থনে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাকিস্তানের হাতে নেই। পাকিস্তানি মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারেই তিনি বলেছেন, তথ্যপ্রমাণের অভাবে পাকিস্তানের পক্ষে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ন্যয় আদালতে নিয়ে গিয়ে লড়াই করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের প্রধান, শীর্ষনেতাদের ফোন করে কাশ্মীর প্রসঙ্গটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তোলার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি কথা বলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না, ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়ার পর তিনিও সেই সুরেই গলা মেলান।
ইমরান রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদ সহ প্রতিটি আন্তর্জাতিক মঞ্চেই কাশ্মীর ইস্যু তুলবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেও এখন তাঁদেরই আইনজীবী বলছেন, অভিযোগ প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত, জোরালো তথ্য, নথি তাঁদের হাতে নেই।
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার, রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই ইমরান আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গত মাসে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, বড় দেশগুলি কি শুধু নিজেদের আর্থিক স্বার্থের কথাই ভাববে? তাদের মনে রাখা উচিত, ভারত ও পাকিস্তান, দুজনের হাতেই পরমাণু অস্ত্র আছে। পরমাণু লড়াই হলে কেউই কিন্তু জিতবে না। এই উপমহাদেশেই শুধু বিপর্যয় ঘনিয়ে উঠবে না, গোটা দুনিয়াকেই তার ফল ভুগতে হবে। বিষয়টা এখন আন্তর্জাতিক মহলের হাতেই।