নয়াদিল্লি: বিরোধী দলগুলো তুকতাক করে বিজেপির প্রথম সারির নেতানেত্রীদের জীবনহানি ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করে সাধ্বী প্রজ্ঞা আবার খবরের শিরোনামে। তাঁর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। আর বিজেপির মুশকিল হল, ‘মারক শক্তি’ বলতে ভোপালের সাংসদ ঠিক কী বুঝিয়েছেন তা তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে না!


দীর্ঘ রোগভোগের পর অল্পদিন আগে প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে প্রার্থনা সভায় প্রজ্ঞা বলেন, তিনি যখন এ বছর লোকসভা ভোটে লড়ছিলেন, তখন এক সন্ন্যাসী এসে তাঁকে বলেন, সময় খুব খারাপ চলছে, তোমাকে ধ্যানজপ আরও বাড়াতে হবে। বিরোধীরা তুকতাক করছে, তুমি আর তোমার দলের নেতারা সাবধানে থেকো।

প্রজ্ঞার বক্তব্য, ওই সন্ন্যাসীর কথা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন কিন্তু এখন বিজেপি নেতানেত্রীরা একের পর এক প্রয়াত হওয়ায় তিনি ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন, সেই কথা সত্যি কিনা। এটা তো সত্যি, দলের প্রথম সারির নেতৃত্বের একটা বড় অংশ অসময়ে চলে গিয়েছেন।

প্রজ্ঞার এই বাক্যবোমার সাফাই দেবেন কি, বিজেপি নেতারা বুঝতে পারছেন না, বিরোধীদের ‘মারক শক্তি’ ঠিক কাকে বলে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও ছিলেন ওই প্রার্থনা সভায়, তিনি নিজেকে ওই মন্তব্য থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। হেসে এড়িয়ে গিয়েছেন আর এক নেতা গোপাল ভার্গব। তবে বলেছেন, এ ধরনের কথায় সহমত নন তিনি। আবার সাধ্বীও তাঁর মন্তব্যের কোনও ব্যাখ্যা দিতে রাজি নন।

কংগ্রেস অবশ্য সাধ্বীর কথার কড়া নিন্দা করেছে। তাদের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র শোভা ওঝা বলেছেন, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিবৃতি অত্যন্ত আপত্তিকর। এতে বোঝা যাচ্ছে, তাঁর মানসিক স্থিরতা বলে কিছু নেই। কখনও তিনি মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে আক্রমণ করছেন আবার কখনও আক্রমণ করছেন জওহরলাল নেহরুকে। এবার কংগ্রেসকে নিয়ে পড়েছেন। এখনই ওঁর চিকিৎসা দরকার। মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রই তাঁর জন্য ঠিক জায়গা।

ভোপাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহকে হারিয়ে বিজেপির টিকিটে সংসদে গিয়েছেন প্রজ্ঞা। তারপর থেকেই করে চলেছেন একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য।