অজমেঢ়: রাজস্থানে কংগ্রেস সেবাদলের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে আরএসএস-কে তীব্র আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সভাপতির দাবি, ‘আরএসএস ও বিজেপি ঘৃণা ছড়ায়। তারা হাফপ্যান্ট পরে লাঠি উঁচিয়ে ঘোরে আর আমরা ভালবেসে কাজ করি। এটাই পার্থক্য।’


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আক্রমণ করেছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, ’১৫-২০ জন বাছাই করা লোককে নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন মোদি। তাঁর কাছে ভারত একটি পণ্য। তিনি ১৫-২০ জন বন্ধুর মধ্যে ভারতের লভ্যাংশ ভাগ করে দিতে চান। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে ভারত একটি সমুদ্র, যেখানে সবার জন্য জায়গা আছে। মোদি বড় বড় কথা বলেন। তাঁর দাবি, গত ৭০ বছরে দেশে কিছুই হয়নি। তার মানে মহাত্মা গাঁধী, সর্দার পটেল, জওহরলাল নেহরু, বি আর অম্বেডকর, সব মুখ্যমন্ত্রী, দেশের মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীরা কিছুই করেননি। এটা দেশের সব নাগরিকের অপমান। ‘আমরা কৃষকদের ঋণমকুব করছি আর মোদি ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তাঁর বন্ধুদের সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়েছে।’

আরএসএস ও মোদিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেছেন, ‘ভয়ের অপর একটি রূপ হল ঘৃণা। ভয় ছাড়া ঘৃণা থাকতে পারে না। আমার সঙ্গে মোদির এটাই পার্থক্য। আমরা ঘৃণা করি না কারণ আমাদের ভয় নেই। কিন্তু বিজেপি-আরএসএস ভয় আড়াল করতে ঘৃণার পরিচয় দেয়। মোদি আমার ও আমার পরিবারের বিষয়ে অন্যায় কথা বলেন। তিনি কংগ্রেসকে শেষ করে দেবেন বলে গোটা দলকে অপমান করেন। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি সংসদে তাঁকে আলিঙ্গন করেন। ভালবাসা দিয়ে ঘৃণাকে পরাজিত করা যায়। আমি যখন তাঁকে আলিঙ্গন করি, তখন তাঁর জন্য কোনও ঘৃণা ছিল না। কিন্তু আমি তাঁর মুখে ঘৃণা দেখেছিলাম। তিনি ভালবাসা নিতে পারেননি। লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপি-কে শেষ করব না, মারব না, খুনও করব না। বরং ভালবাসা দিয়ে ওদের হারাব।’

অন্যদিকে, মোদির রাজ্য গুজরাতের ভালসাদে একটি জনসভায় গিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে ফের তাঁকে আক্রমণ করেছেন রাহুল। তাঁর কটাক্ষ, ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টও চৌকিদারকে চোর বলেছেন।