#পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে যে, আজকের পুলওয়ামার মতো হামলার পুনরাবৃত্তি ভবিষ্যতে ঘটবে না এবং সেজন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কাশ্মীরে এত বেশি সংখ্যায় প্রাণহানির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা উচিত বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি। পুলওয়ামায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের পরিবারগুলির প্রতি গভীরতম সমবেদনা প্রকাশ করে তিনি বলেন, পরিবারের প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা আমি খুব ভালই অনুভব করতে পারি। শুধু কংগ্রেসই নয়, সারা দেশ সাহসী জওয়ানদের পরিবারগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাশে থাকছে। কিন্তু কাশ্মীরে এত বেশি সংখ্যক মৃত্যু নিয়েও আমাদের বিচলিত হওয়া উচিত, ভাবনাচিন্তা করা উচিত। আমাদের দাবি, সরকার স্পষ্ট পদক্ষেপ করুক, যাতে আগামীদিনে এমন সন্ত্রাসবাদী হামলা হবে না, এটা সুনিশ্চিত করা যায়।
# সিআরপিএফ কনভয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত জওয়ানের সংখ্যা ৪২-এ দাঁড়াল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর। উরি হামলার পর দেশে এটাই সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। স্বাধীন ভারতে কাশ্মীরে আজই সন্ত্রাসবাদীরা সবচেয়ে বড় আঘাত হানল বলেও দাবি পর্যবেক্ষক মহলের।
#হামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবারের নির্ধারিত বিহার সফর বাতিল রাজনাথ সিংহের। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তিনি সন্ত্রাসবাদী হামলার পর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গাউবা, সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল আর আর ভাটনগরের সঙ্গেও আলোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজনাথ ট্যুইট করেছেন, আজকের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের ওপর হামলা অত্যন্ত যন্ত্রনাদায়ক, উদ্বেগজনক। দেশের সেবায় প্রাণ বলিদান দেওয়া প্রতিটি জওয়ানকে মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানাই, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।
# কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে কাশ্মীরে সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলায় গভীর ভাবে বিচলিত বলে জানিয়েছেন। লিখেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সিআরপিএফ কনভয়ের ওপর যে কাপুরুষোচিত হামলায় আমাদের অনেক বীর জওয়ান শহিদ ও অনেকে জখমও হয়েছেন, কয়েকজনের আঘাত মারাত্মক, তাতে আমি গভীর যন্ত্রণা বোধ করছি। শহিদদের পরিবারগুলির প্রতি শোক জানাই। জখমদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করছি।
# ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জওয়ানদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। বলেছেন, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের শহিদ হওয়ার খবরে বেদনাহত। সাহসী জওয়ানদের কুর্নিশ করছি, ওদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা, সমর্থন জানাই। যারা জখম হয়েছেন, তাঁরাও দ্রুত সুস্থ হোন, এটাই প্রার্থনা।
# কনভয়ে ছিল ৭০টি গাড়ি। সেগুলিরই একটির ওপর হামলা হয়েছে। জম্মু থেক কনভয় শ্রীনগর যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন জনৈক সিআরপিএফ অফিসার।
#সিআরপিএফের তিনটি ব্যাটালিয়ন শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। তখনই বিস্ফোরণ হয়। কনভয়ে ছিলেন প্রায় ১৫০০ জওয়ান।
#সিআরপিএফ সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এটি সন্ত্রাসবাদী হামলা। আমরা বিস্ফোরণ পরবর্তী তদন্ত করব। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছি।
# পিডিপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ট্যুইট করে সিআরপিএফ জওয়ানদের বাসে নাশকতার তীব্র নিন্দা করেছেন। লিখেছেন, অবন্তীপোরা থেকে খারাপ খবর। আমাদের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা জওয়ান শহিদ ও অনেকে জখম হয়েছেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দার কোনও ভাষা নেই। এই উন্মত্ততার অবসানের আগে আর কত প্রাণ বলি হবে এভাবে?
#আইইডি বিস্ফোরণে নিহত সিআরপিএফ জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে হল ১৮। সাম্প্রতিক কালে সম্ভবত সবচেয়ে বড় নাশকতার ঘটনা এটি।
শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় সিআরপিএফ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনীর কনভয় টার্গেট করে বিস্ফোরণ জখম তাদের একাধিক জওয়ান। ১৩ জওয়ান নিহত হয়েছেন বলে সর্বশেষ খবর। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে দাবি সূত্রের।
পুলওয়ামার অবন্তীপোরা এলাকায় শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ের ওপর সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া যানে আইইডি বিস্ফোরণ হয় এদিন বিকালে। পরে দেখা যায়, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ধাক্কায় জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া বাসটি কার্যত একতাল লোহায় পরিণত হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর গ্রেনেড, গুলিও চালায় হামলাকারীরা।
জয়েশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠী বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে বলে খবর। জয়েশ জানিয়েছে, তারা গাড়ি নিয়ে সোজা ধাক্কা মেরেছে সিআরপিএফ জওয়ানদের বাসে। এটা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা বলে তাদের দাবি।
লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকতেই নতুন করে উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর। গতকাল বদগামে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। উপত্যকায় হিজবুলের হয়ে লোকজন রিক্রুটের দায়িত্বে থাকা এক জঙ্গিও ছিল তাদের মধ্যে। এক পুলিশ মুখপাত্র বলেন, বদগামের চাদুরার গোপালপোরায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতির সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় মঙ্গলবার ও বুধবারের মাঝের রাতে। সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে নিশানা করে গুলি চালালে তারাও মোক্ষম জবাব দেয়। যার ফলে গুলিযুদ্ধ হয়। দুই জঙ্গি প্রাণ হারায়। এদের শনাক্ত করা হয়েছে হিলাল আহমেদ ওয়ানি, শোয়েইব মহম্মদ লোন বলে।