দেশব্যাপী মুসলিম মহিলারা ওই আইনের ‘বিরুদ্ধে কয়েক কোটি চিঠি লিখে, স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চালিয়ে, বিদ্রোহ করেছেন’ বলে দাবি করে তাঁদের প্রশংসা করেন সুস্মিতা। বলেন, কংগ্রেস সংসদে এর সরব বিরোধিতা করেছে। আপনাদের কথা দিচ্ছি, ২০১৯-এ কংগ্রেস সরকার গড়লে আইনটা বাতিল করব আমরা। তবে এটাও স্পষ্ট জানাই, মহিলাদের প্রকৃত ক্ষমতায়নে যে সরকার, যে আইনই আনুক, কংগ্রেস তা সমর্থন করবে।
সেপ্টেম্বরে জারি হওয়া অর্ডিন্যান্সের বদলি হিসাবে ডিসেম্বরে একটি নতুন বিল পেশ করা হয় লোকসভায়, যাতে মুসলিম সমাজে চালু তিন তালাক প্রথা শাস্তিযোগ্য অপরাধের স্বীকৃতি পায়। প্রস্তাবিত আইনে একতরফা তিন তালাক ঘোষণা বেআইনি, অসার বলা হয়েছে, যার শাস্তি মুসলিম পুরুষের তিন বছরের কারাবাস।
মুসলিম মহিলা (বিবাহ অধিকার সুরক্ষা) বিল, ২০১৮ লোকসভায় আগে পাশ হওয়া ও রাজ্যসভায় বকেয়া একটি বিলের বদলে আনা হয়। আগের বিলে রাজ্যসভায় কয়েকটি দল আপত্তি তোলায় তাকে গ্রহণযোগ্য করতে তাতে জামিনের সংস্থান সহ কয়েকটি সংশোধন করে সরকার। প্রথমটির মেয়াদ শেষ হতে চলায় সম্প্রতি নতুন করে অর্ডিন্যান্স আনা হয়।
সরকারের অভিমত, সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক বলে জানিয়ে তালাক-ই-বিদ্দত (তাত্ক্ষনিক তিন তালাক) প্রথা খারিজ করার পরও স্ত্রীদের নানা তুচ্ছ কারণে, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও তালাক দিচ্ছেন মুসলিম পুরুষরা। তবে বিরোধীদের দাবি, ডিভোর্সকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করা যায় না, বিলের বিধিগুলি সংবিধানের মৌলিক ধারার পরিপন্থী।