তমলুক ও কলকাতা: ধর্ষণ নিয়ে বেলাগাম বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। ‘দিদিমণি বলে দিয়েছেন, শরীর গরম হলেই ধর্ষণ কর। চাকরি দিতে পারিনি, তাই মনোরঞ্জনের জন্য ধর্ষণ কর। বলে দিয়েছেন, তোরা ধর্ষণ কর, আমি ক্ষতিপূরণ দেব।’ তমলুকের সভা থেকে বেলাগাম অগ্নিমিত্রা।


উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বাংলা উত্তরপ্রদেশ নয়। মানুষের সেবায় নিয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা ফিরহাদ হাকিম।

অগ্নিমিত্রার সমালোচনা করে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘রাজনীতিতে অগ্নিকন্যা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মূল্যবোধের অবক্ষয় করেছেন, অগ্নিকন্যা দিয়ে সম্ভব হয়নি। এখন অগ্নিমিত্রাকে দিয়ে সেই কাজ করাচ্ছে বিজেপি। সবটা হয়তো পূর্ণ হয়নি তৃণমূলের দ্বারা। তাহলে হাথরাসের ঘটনার জন্য যোগীকে দায়ী করতে হয়।’

অগ্নিমিত্রার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমদার বলেছেন, ‘যারা এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের এতদিন অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও সচেতন নাগরিক হিসেবেই জানতাম। হঠাৎ তাঁরা এই ধরনের কাজকর্ম করছেন দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছি। এই ধরনের সমস্যা বাংলার একার নয়। এটা সারা ভারতের সমস্যা। আজ যে অভিযোগ তিনি ‘দিদির’ হাতে তুলে দিচ্ছেন, সেই অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের উপরেও বর্তায়।’

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ির বক্তব্য, ‘ওঁর সম্পর্কে আমার অন্য শ্রদ্ধা ছিল। সমাজে ওঁর অন্য পরিচিতি ছিল। উনি অত্যন্ত গুণী ফ্যাশন ডিজাইনার। আমি ভাবতে পারি না উনি এই ধরনের মন্তব্য করছেন। এতে বোঝা যায়, ওঁর দর্শন এরকম। ওঁর মুখ দিয়ে যে জঘন্য শব্দরাশি বেরোচ্ছে, ওঁরা বোধহয় এভাবেই নেতা-নেত্রী হয়ে ওঠেন।’