কলকাতা: আজ থেকে শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। নির্বিঘ্নেই শেষ হল প্রথম দিনের পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র নিয়ে খুশি পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের মনোবল বাড়াতে এদিন কলকাতার একাধিক স্কুলে যান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। ভবানীপুরের ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস স্কুল, বালিগঞ্জের সেন্ট লরেন্স হাই স্কুল ও কসবা বালিকা বিদ্যালয়ে যান পুলিশ কর্তারা।


পুলিশকর্মীরা আরও দু’টি ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান। অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনীশা সিংহ। আরেকটু হলে পরীক্ষাটাই দেওয়া হচ্ছিল না। এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিল পুলিশ। বেলেঘাটার ওসি-র তৎপরতায়, ফুলবাগানের বাসিন্দা ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন দুই পুলিশ অফিসার।

একই ছবি পশ্চিম বর্ধমানেও। অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিলেন নিউ টাউনশিপ এলাকার মামরা বাজারের বাসিন্দা মিলি বার্নওয়াল। ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসেন এক পুলিশকর্মী।

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে রাজ্যজুড়ে প্রশাসনের তত্পরতা ছিল তুঙ্গে। উল্টোডাঙার হাডকো মোড়ে বিনামূল্যে ছিল অটো পরিষেবা। কলকাতা ও বিধাননগর পুরসভার দুই কাউন্সিলরের উদ্যোগে ছিল এই ব্যবস্থা। সল্টলেক, বেলেঘাটা, মানিকতলার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে পড়ুয়াদের পৌঁছে দেয় ১০০টি অটো। পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পেন, জলের বোতল এবং গোলাপ। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে উল্টোডাঙায় সারদা প্রসাদ ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলের বাইরে ক্যাম্প করেন কলকাতা পুরভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। গতবারের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৩ হাজার। পরীক্ষা নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবারও একাধিক পদক্ষেপ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, নকল রুখতে জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানের ৪২টি ব্লকে পরীক্ষা শুরু থেকে প্রথম ২ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ও স্মার্ট ঘড়ি। প্রধান শিক্ষকের ঘরে নয়, এবার প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হবে পরীক্ষার্থীদের সামনে। মোবাইল সহ কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে বাতিল হবে তার পরীক্ষা। এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।