কলকাতা: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। মৃত ২, আহত বহু যাত্রী। বালেশ্বরে লাইনচ্যুত করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident), মৃত ২, আহত বহু যাত্রী। রেলের তরফে খোলা হল বিশেষ হেল্পলাইন। যাতে যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারেন উদ্বিগ্ন পরিজনরা।
সেই নম্বরগুলি হল:
(033) 2638 2217 (হাওড়া)
8970273925 (খড়্গপুর)
9332392339 (খড়্গপুর)
9903370746 (শালিমার)
8249591559 (বালেশ্বর)
7978418322 (বালেশ্বর)
06782262286 (বালেশ্বর)
দুর্ঘটনার জেরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন উঠে গেল মালগাড়ির ওপরে। আহত বহু যাত্রী, বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ৮টি কামরা লাইনচ্যুত।খড়গপুর থেকে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিল চিকিৎসক ও উদ্ধারকারীদের ২টি দল। বেলাইন মালগাড়ির ৫টি বগিও।
'ভয়াবহ ঘটনা। আশেপাশে বহু যাত্রী পড়ে রয়েছে। চারিদিক অন্ধকার। কোথাও দেখা যাচ্ছে না। উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আরও উদ্ধারকর্মী দরকার। ট্রেনের বগি পাশের খালে, ভয়াবহ ঘটনা। যেখানে হয়েছে সেটা একটা লোকাল স্টেশন। অনেকে এসেছেন, কিন্তু আরও লোক লাগবে। ৪০ শতাংশ যাত্রীই হয়তো মারা গিয়েছেন', আশঙ্কা দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জয়দীপ ঘোষের।
দুর্ঘটনার তীব্রতা ও ভয়াবহতা দেখে আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রচুর হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের পথে যাচ্ছিল ট্রেনটি। বালেশ্বরের কাছে বাহানাগর স্টেশনে কার্যত ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে এগোনোর মাঝে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর কার্যত দেশলাইয়ের খোলের মতো লাইনের পাশে উল্টে পড়ে ট্রেনের কামরগুলি। দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর স্থানীয়রা প্রথমে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। যারপর বিভিন্ন কামরা থেকে শুরু হয় মরিয়া উদ্ধারকার্য। ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঠিক কতজন আহত হয়েছেন, সে নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি। শালিমার থেকে ট্রেনটি চেন্নাইয়ের পথ ধরায় রাজ্যের একাধিক বাসিন্দা ট্রেনটিতে সওয়ার ছিলেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীভাবে দুটি ট্রেন এক লাইনে এসে পড়ল ? সিগনালিংয়ের কোনও সমস্যার জের নাকি কারোর গাফিলতির জেরে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখার কাজও শুরু হয়েছে। যদিও আপাত যাত্রীদের উদ্ধারকাজেই নজর সকলের। উদ্ধারকাজে আপাতত মূল বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আলোর অভাব। যদিও স্থানীয় ও উদ্ধারকারী দল ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাঁদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের যদিও আশঙ্কা, একাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায়।