নয়াদিল্লি: কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে সেরাম ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কোভিশিল্ড এবং হায়দাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে কোভ্যাকসিন। পাশাপাশি, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকোভ ডি-র তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রানও চলছে।


ডিসিজিআইয়ের দাবি, কোভিশিল্ডের সুরক্ষা-নিশ্চয়তা ৭০ শতাংশের বেশি। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখা যায়। সাংবাদিক বৈঠকে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভিজি সোমানি জানিয়েছেন, দু’টি টিকাই নিরাপদ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসতে চলেছে ভ্যাকসিন, ট্যুইটে জানান সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা।

তবে এরই মধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য যে ভ্যাকসিনগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলির কার্যকারিতা বা দক্ষতা সংক্রান্ত তৃতীয় পর্যায়ের পর্যায়ের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। সেই রিপোর্ট পাওয়ার আগেই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া ঝুঁকির হয়ে গেল কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।

আজ ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর ড. বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, ‘যা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে কার্যকারিতা যথেষ্ট। কিছুদিনের মধ্যেই কার্যকারিতা সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে।’

ড. ভার্গব আরও জানিয়েছেন, ‘প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, কোভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ ভ্যাকসিন। প্রাণীদের শরীরে প্রয়োগ করে খুব ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে।’

সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ‘ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনই এখনও পর্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বাকি সব ভ্যাকসিনই নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। জল যেমন নিরাপদ, এই ভ্যাকসিনগুলিও তেমনই নিরাপদ। তবে এই ভ্যাকসিনগুলি ঠিক কতটা কার্যকর হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভ্যাকসিন ৭০, ৮০, ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। এই তিনটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই প্রমাণই পাওয়া যাচ্ছে।’

ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. কৃষ্ণ এলা জানিয়েছেন, ‘কোভ্যাকসিন যথেষ্ট নিরাপদ। এই ভ্যাকসিনে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন রয়েছে। কোভ্যাকসিন নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে কোনও সংশয় থাকার কথা নয়। এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর হবে বলেই মনে হচ্ছে।’