নয়াদিল্লি: দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ১১৬। এদের মধ্যে কোভিড ১৯ আক্রান্ত ১৩ হাজারের ওপর। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজারের ওপরে মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫১৯ জনের। বিশ্ব মানচিত্রের করোনা ছবিটা দেখলে ১৩০ কোটির দেশের এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে স্বস্তির। যেখানে চীন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন সহ বহু দেশে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল, সেখানে ভারত লকডাউন কার্যকর করে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। দেশে এখন লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। ১৪ মার্চের পর লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই একেবারে লাইনচ্যুত হয়েছে অর্থনীতি। আশঙ্কা, আগামী আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি সর্বনিম্ন হবে। কর্মহারা হবে কোটি কোটি মানুষ।


এই আবহে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বৈঠকের পর সোমবার থেকে সারা দেশে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউনে কড়াকড়িই থাকবে।



কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ ট্যুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার থেকে সারা দেশে কোন কোন বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। দেখে নিন-




নিম্নলিখিত ছাড়গুলো কনটেইনমেন্ট জোনে কার্যকর হবে না


১. আয়ুষ সহ সমস্ত রকম স্বাস্থ্য পরিষেবা সোমবার থেকে চালু হয়ে যাবে


২. কৃষি ও উদ্যানপালন সংক্রান্ত (ফুল, গাছগাছালি ইত্যাদি) সমস্ত কাজে ছাড়


৩. মৎস শিল্পে ছাড় (মাছ ধরা ও বিপণন সবকিছুই সোমবার থেকে চালু হয়ে যাবে)


৪. চা, কফি, রাবার ইত্যাদি চাষের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার ছাড়পত্র কেন্দ্রের


৫. সম্পূর্ণ ছাড় পশুপালনে


৬. অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সমস্ত কাজ অব্যাহত থাকবে


৭. সামাজিক ক্ষেত্রেও সমস্ত রকম কাজ চলবে


৮. ১০০ দিনের সকল কর্মীকে কাজের ছাড়পত্র, তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক ব্যবহার করেই কাজ করতে হবে


৯. জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবায় ছাড়


১০. আন্তঃরাজ্য এবং এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পণ্য পরিবহণে ছাড়


১১. চালু থাকবে অনলাইন পড়াশোনা


১২. বাণিজ্যিক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কাজে ছাড়


১৩. বেসরকারি এবং সরকারি শিল্প, উভয় ক্ষেত্রেই সোমবার থেকে কাজ শুরুর অনুমতি


১৪. নির্মাণ শিল্পে ছাড়


১৫. ব্যক্তিগত গাড়ি, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যান, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহণকারী পরিষেবায় ছাড় (এক্ষেত্রে রাজ্যর নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে)


১৬. কেন্দ্র, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত সরাকারি দফতর সোমবার থেকে খোলা থাকবে


প্রসঙ্গত, সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন ই-কমার্সে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না।”