জেনেভা: আপাতত ছোটদের টিকাকরণ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে  ধনী দেশগুলির কাছে আর্জি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র। শিশুদের টিকা করণ বন্ধ রেখে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ কোভ্যাক্স প্রকল্পে দান করে তা দরিদ্র দেশগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে হু। অগ্রাধিকারপ্রাপ্তদের টিকাকরণের পর কোভ্যাক্স প্রকল্পে টিকার ডোজ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স ও সুইডেনের মতো দেশ। আরও অনেক দেশই ফ্রান্স ও সুইডেনের উদাহরণ অনুসরণ করবে বলেও হু আশা প্রকাশ করেছে। 
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে কিশোর-কিশোরীদের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, টিকার ডোজ বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চলছে। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধানোম ঘেব্রেয়েসাস জেনেভায় এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেছেন, কিছু দেশ কেন কিশোর ও শিশুদের টিকাদান করতে চাইছে তা বুঝতে পারছি। কিন্তু এই মুহূর্তে  তাদের কাছে আবেদন, এই সিদ্ধান্ত পুণর্নিবেচনা করুন। বরং টিকার জোড কোভ্যাক্সে দান করুন। 
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৬০ মিলিয়ন ডোজ বন্টন করা হয়েছে। হু প্রধান বলেছেন, বর্তমানে কম আয়ের দেশগুলিতে মাত্র ০.৩ শতাংশ ভ্যাকসিন সরবরাহ হচ্ছে। 
টেড্রোস বলেছেন, তিনি আগেই ভ্যাকসিন নিয়ে জাতীয়তাবাদের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বাস্তবে, এমন অসংখ্য স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন, যাঁরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, কিন্তু এখনও করোনা টিকা পাননি। এটা ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের বিষয়টিই তুলে ধরেছে। 
টেড্রোস ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বহু দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যুর সংখ্যা বেশ চিন্তাজনক। তিনি আরও বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েক হাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, মোবাইল ফিল্ড হাসাপাতালে টেন্ট, মাস্ক ও অন্যান্য মেডিক্যাল সামগ্রী ভারতে পাঠিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, শুধু ভারতের ক্ষেত্রেই নয়, এই আপৎকালীন প্রয়োজন দেখা দিয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের মতো দেশের ক্ষেত্রেও।