নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যেই আশার আলো। তাদের করোনা ভ্যাকসিন ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি করল আমেরিকার সংস্থা মডার্না। সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে চলতি গবেষণার প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এই দাবি করেছে কোম্পানি।
এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ফাইজারও একই ধরনের দাবি করেছিল। এরফলে দুই কোম্পানিই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আমেরিকায় ভ্যাকসিনের জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মডার্নার প্রেসিডেন্ট স্টিফেন হোগ বলেছেন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলককে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুটি পৃথক কোম্পানির একই ধরনের ফলাফল কিন্তু বেশ ভরসাজনক।
সংবাদসংস্থাকে হোগ বলেছেন, এতে সবার মনেই আশা জেগেছে যে, ভ্যাকসিনই প্রকৃতপক্ষে এই অতিমারী থামাতে পারবে এবং সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
তিনি বলেছেন, মডার্নার একার পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না। সারা বিশ্বের চাহিদা মেটাতে আরও অনেক ভ্যাকসিন প্রয়োজন।
গত সপ্তাহান্তেই আমেরিকায় মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১১ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহেই সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। অতিমারীতে সারা বিশ্বে প্রাণ গিয়েছে ১৩ লক্ষ মানুষের। এরমধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ আমেরিকাতেই। এই অবস্থায় দ্রুত করোনা ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় রয়েছে আমেরিকা সহ সারা বিশ্ব।
মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্টেশন যদি মডার্না বা ফাইজারের ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমতিও দেয়, তাহলেও চলতি বছর শেষের আগে এর সরবরাহ হবে নিয়ন্ত্রিত। দুটি ভ্যাকসিনেরই দুটি শট দরকার কয়েক সপ্তাহ ছাড়া। মডার্না ২ কোটি ডোজ আমেরিকার জন্য চলতি বছরের মধ্যে তৈরি করতে পারবে বলে আশা। ফাইজার ও তার জার্মান সহযোগী বায়োএনটেক সারা বিশ্বের জন্য এ বছরের মধ্যে ৫ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারবে বলে আশা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তৈরি মডার্না ভ্যাকসিন ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এরই ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন প্রায় ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতেও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার শুরু হল ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের। আইসিএমআরের সঙ্গে অংশীদারিত্বে সারা দেশের ২৫ টি জায়গায় ২৬,০০০ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যারসিনের পরীক্ষা করা হবে। ভারতে কোভিড-১৯ এর কোনও ভ্যাকসিনের এটাই সবচেয়ে বড় পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।