নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়ে মারা গেলেন দিল্লিতে কর্মরত অসমের বিশিষ্ট সাংবাদিক কল্যাণ বরুয়া। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অসমের একটি সংবাদপত্রের দিল্লি ব্যুরো চিফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দিল্লির একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। দিল্লির ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
একদিন আগেই তাঁর স্ত্রী তথা সাংবাদিক নিলাক্ষী ভট্টাচার্যও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তিনিও দিল্লিতে একটি সংবাদপত্রে কাজ করতেন।
গুরুগ্রামের হাসপাতালে এদিন সকাল ৮.৪০ নাগাদ কল্যাণ বরুয়ার মৃত্যু হয়। গত কয়েকদিন ধরেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
বিশিষ্ট এই সাংবাদিক আদতে অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা। অসমের ওই সংবাদপত্রে তিনি গত ৩০ বছর ধরে কাজ করছিলেন। তাঁর এক মেয়ে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংবাদমাধ্যম জগতে। তাঁর প্রয়ানে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সহ অন্যান্যরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সাংবাদিক দম্পতির মৃত্যু গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কল্যাণ বড়ুয়া ও তাঁর তাঁর স্ত্রী নিলাক্ষী ভট্টাচার্যের মৃত্যু সংবাদ অবিশ্বাস্য। সাংবাদিকতার সীমার বাইরে আমাদের ছিল দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করি।
গতকালই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রোহিত সরদানা। তাঁর প্রয়ানে সংবাদমাধ্যম জগতে নেমে আসে শোকের ছায়া। অনেক সাংবাদিকই রোহিত সারদানার প্রয়ানের খবর জানিয়ে ট্যুইট করেছেন। সাংবাদিকরা তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। রোহিত সারদানার মৃত্যু নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই ট্যুইট করে বলেন, খুবই ভয়ঙ্কর খবর। বিশিষ্ট টেলিভিশন সঞ্চালক রোহিত সারদানা প্রয়াত হয়েছেন। আজ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। বিশিষ্ট সাংবাদিক চিত্রা ত্রিপাঠী ট্যুইটে লেখেন, হাসি-খুশি পরিবার, দুটি ছোট মেয়ে। ওদের জন্য এই লড়াইয়ে হেরে যাওয়া ঠিক হল না রোহিত সারদানাজী। আজ সকালে নয়ডার বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-তে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর তার পরেই এল দুঃসংবাদ। কিছু বলার নেই।