মুম্বই: পরনে দুধ সাদা রঙের অ্যাপ্রন। গলা থেকে একেবারে পা পর্যন্ত ঢাকা। কোমরে গাঢ় লাল রঙের বেল্ট। মুখে এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক। একঝলক দেখলে চেনাই যাবে না, নার্সের অ্যাপ্রন পরে হাসপাতালে যিনি করোনা আক্রান্তদের সেবা করছেন তিনি বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র কিশোরী পেডনেকর।





৫৮ বছরের এই শিবসেনা নেত্রী ২০০২ সাল থেকেই দেশের অন্যতম ধনী পুরসভার জনপ্রতিনিধি। ২০১২ এবং ২০১৭ সালেও তিনি জয়ী হয়ে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে এসেছেন। ২০১৯ সালে তিনিই মহারাষ্ট্রের মুম্বই পুরসভার মেয়র হন। এবার সেই কিশোরী পেডনকরই করোনা মোকাবিলায় একেবারে সামনের সারিতে এসে দাঁড়ালেন। অতীতের নার্সিংয়ের জ্ঞানকে পাথেয় করেই মহারাষ্ট্রের নায়ার হাসপাতালে কাজে যোগ দিলেন মেয়র কিশোরী পেডনেকর। বাণিজ্যনগরীতে যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা একেবারে সামনে থেকে করোনার মতো সংক্রামক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ছেন, তাঁদের মনোবল বাড়াতেই এই সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন মুম্বইয়ের মেয়র।



কিশোরী পেডনেকরের এই ব্যক্তিগত উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “ইনি আমাদের মাননীয়া মেয়র। দিনে সকাল আটটা থেকে রাত দুটো পর্যন্ত কাজ করছেন। একই সঙ্গে নায়ার হাসপাতালে নার্সের ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হয়েছেন। যারা এখনও তাঁর বিরুদ্ধে অপমানজনক ট্যুইট করছেন, তাঁরা দয়া করে কিছু শিখুন। নিজের থেকে দায়িত্বকে এগিয়ে রাখতে শিখুন।” কিশোরী পেডনকর যে ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং মনে রাখার মতো, ট্যুইট প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেলের।



এই মুহূর্তে ভারতে করোনায় সবথেকে ভয়াবহ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সেখানে আক্রান্ত ৮ হাজারের ওপরে। ১ হাজার ৭৬ জন করোনামুক্ত হলেও মৃত্যু হয়েছে ৩৪২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায়ই মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের (তথ্য আরোগ্য সেতু অ্যাপ)। আক্রান্তের তালিকায় মুম্বইয়ের পরই চিন্তা বাড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাত। সেখানে এখনও পর্যন্ত ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই রয়েছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ। শিবরাজ সিংহ চৌহানের রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের।