একই কাহিনি দিল্লির অন্য করোনা রোগী সফদরজং হাসপাতালের ডাঃ হুদারও। যখন তাঁর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছিল, তখন সামান্য গা ব্যথা ও কাশি ছাড়া আর কোনও লক্ষণ ছিল না তাঁর মধ্যে। তিনি জানান, করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করে সুস্থ হলেও মন থেকে যাচ্ছে না ভয়। বাড়ি ফেরার পরও নাকি তাঁর কাছে যেতে, কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন বাড়ির লোক থেকে প্রতিবেশীরা।
চিকিৎসক মহেন্দ্র সাদানা ও পত্নী পুনম সাদানার রিপোর্ট যখন করোনা পজিটিভ আসে, তখন তাঁদের শরীরে প্রায় কোনও লক্ষণ ছিল না বললেনই চলে। দুজনেরই বয়স ৬০ পেরিয়েছে। করোনা লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন দম্পতি। শরীরচর্চা করে চলছে তাঁদের জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানের চেষ্টা। সুস্থ হয়ে ওঠার পর কারোরই শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্যা হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনামুক্ত হওয়ার পরও লক্ষ্য করা যেতে পারে কিছু দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়তে পারে, কমতে পারে শারীরিক কসরৎ করার ক্ষমতারও। ৬ মাস পর্যন্ত শরীরের কোনও অঙ্গ সঞ্চলনায় সাময়িক সমস্যা দেখা দিতে পারে। গ্রাস করতে পারে স্ট্রেস ও ডিপ্রেশন। ব্রিটেনে সার্স রোগীদের কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া গেছে এই সমস্ত তথ্য। তবে এখনও পর্যবেক্ষণ করা হয়নি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কোনও রোগীকে। রিপোর্টের ভিত্তিতে, করোনামুক্ত হয়ে গেলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার মধ্যে প্রধান হয়ে দাঁড়াতে পারে শ্বাসকষ্ট। যদিও দিল্লির করোনামুক্ত ব্যক্তিদের কারও আপাতত শ্বাসকষ্টের কোনও লক্ষণ নেই।
সফদরজং হাসপাতালে কয়েকজন করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসরা জানান, ফুসফুসে মারাত্মক প্রভাব ফেলে করোনা। তাই কোভিডমুক্ত হলেও সারতে সময় লাগবে ফুসফুস। হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। অন্যান্য ভাইরাসের আক্রমণের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে শরীরের কিছু টিস্যুও।