নিমুচের একটি বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানের চালাতেন তাঁর বাবা। কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন ও শিক্ষার আকাঙ্খা পূরণে নিজের আর্থিক টানাটানির কোনও প্রভাব পড়তে দেননি সুরেশ গানওয়াল।
শনিবার কম্বাইন্ড গ্র্যাজুয়েশন প্যারাডে অঞ্চলকে রাষ্ট্রপতির পদক দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ১২৩ ফ্লাইট ক্যাডেটের ভারতীয় বায়ুসেনায় অফিসার হিসেবে নিযুক্তি হয়।
একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতক সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে মধ্যপ্রদেশে পুলিশ বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন অঞ্চল। লেবার ইন্সপেক্টর হওয়ার পর তিনি কাজ ছেড়েছিলেন। অঞ্চল বলেছেন, বাহিনীতে যোগদানের আগে আমি সেখানে আট মাস কাজ করেছিলাম।
স্নাতক হওয়ার পরই তিনি এএফসিএটি-তে অবতীর্ণ হতে শুরু করেন। ছয়বারের চেষ্টায় তিনি এসএসবি-তে সুযোগ পান।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে অঞ্চল বাবা-মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
২০১৩-তে উত্তরাখণ্ডের বন্যায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাজ দেখেই তিনি বাহিনীতে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অঞ্চল।