গতকাল সন্ধ্যায় আচমকা জেএনইউয়ে হাজির হন দীপিকা। সেখানকার সাবরমতী টি-পয়েন্টে রবিবারের তান্ডবের নিন্দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের ডাকা প্রতিবাদ সভায় দর্শকদের সারিতে দাঁড়ান। সেখানে তিনি কিছু বলেননি, তবে ঐশীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থেকে চলে যান দীপিকা।
প্রসঙ্গত, সাক্ষীই শুধু নন, দিল্লি বিজেপির আরেক নেতা তেজিন্দর সিংহ বাগ্গাও দীপিকাকে নিশানা করেছেন। সামনেই দীপিকার ছবি ‘ছপাক’ মুক্তি পাচ্ছে। বগ্গা গতকালই তাঁর জেএনইউ যাত্রার সমালোচনা করে ডাক দেন, দীপিকার সব ছবি বয়কট করা হোক।
এদিকে যে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) বিরুদ্ধে জেএনইউয়ের ছাত্রী হস্টেলে চড়াও হয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে, তাদের সম্পাদক অনিকেত ওভহালের দাবি, ‘বলিউড অভিনেত্রীর মতোই আচরণ করা উচিত দীপিকা পাড়ুকোনের। তাঁর আগে জেএনইউ-এর বিষয়টি বোঝা উচিত, তারপর কারও সঙ্গে মঞ্চে উঠতে পারেন। তাঁর যদি রাজনীতি করতে হয়, তাহলে সরাসরি রাজনীতিতে আসা উচিত। তাহলে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবে এবিভিপি।’
অনিকেত আরও বলেছেন, ‘জেএনইউ-তে এবিভিপি সদস্যরা মারপিট করছেন, এই ছবি প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু গত দু’মাস ধরে বামপন্থী সংগঠন হিংসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। জেএনইউ-এ যে ৩৪ জন পড়ুয়া জখম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২৩ জন এবিভিপি-র। দিল্লিতে নির্ভয়া মামলার রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দীপিকা। তিনি নির্ভয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখাও করেননি। জেএনইউ-এ ফি বৃদ্ধি নিয়ে যখন আন্দোলন চলছিল, তখনও দীপিকা সেখানে যাননি। কিন্তু কয়েকদিন পরেই তাঁর ছবি মুক্তি পেতে চলেছে বলে এখন প্রচারের জন্য ভাল মঞ্চ পেতে জেএনইউ-এ গেলেন।’