পাল্টা তারুর বলেন, যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা অতি তুচ্ছ, সামান্য। প্রকাশিত, ছাপার অক্ষরে বেরনো বিষয়বস্তু উদ্ধৃত করার অধিকারই যদি খর্ব করা শুরু হয়, তবে গণতন্ত্র কোন পথে এগবে? মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কী হবে?
তারুরের সাফাই, তিনি ২০১২ সালে একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যাতে নাম প্রকাশ না করা এক আরএসএস নেতার মন্তব্যের উল্লেখ রয়েছে। তাহলে কেন এখন আমার নামে মানহানির মামলা দায়ের হল? আমার বইয়ে লেখক হিসাবে ৫০০০টা অন্য কাহিনি, উদাহরণের উল্লেখ করেছি। ঘটনা হল, স্বাধীন মতপ্রকাশের পরিবেশ, কোনও না কোনও সময় নামী প্রকাশনায় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে যা বেরিয়েছে, তা থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার স্বাধীনতা অন্যায় নয়। আমার প্রশ্ন, প্রকাশিত তথ্য থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার মানুষের অধিকার খর্ব করা শুরু হলে আমাদের গণতন্ত্রের কী হবে।
তারুরের স্পষ্ট মত, তিনি কোনও অন্যায় বা অস্বাভাবিক কিছু করেছেন বলে মনে করেন না, যে কোনও লেখক এ ধরনের লিখিত আকারে প্রকাশিত নথি, তথ্য থেকে খোলাখুলি উদ্ধৃতি দিতে পারেন। তিনি বলেছেন, আমি অ্যান্ডি মারিনোর মোদীর অনুমোদিত জীবনী থেকেও প্রচুর উদ্ধৃতি দিয়েছি। সুতরাং ব্যাপারটা এমন নয় যে, ৫০০ পৃষ্ঠার বইকে ছেঁটে এক লাইনে কমিয়ে আনা যায়, যেটা এই নির্দিষ্ট অভিযোগকারী পছন্দ করছেন না। মানহানির মামলার খবরে আমি বিস্মিত। আশা করি, বিচারপতি এই কারণেই সেটা ছুঁড়ে ফেলে দেবেন যে, এটা প্রকৃত, বাস্তব তথ্য। কিন্তু তেমনটা না হলে অবশ্যই আমাদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
আদালতকে এখন রাজনৈতিক মতামত দমনের হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারুর বলেন, কেউ সেই চেষ্টা করলে কংগ্রেস জবাব দেবে।