নয়াদিল্লি : পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দিল্লির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পড়াশোনা সবই হবে অনলাইনে।  দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার রাতে নির্দেশিকা জারি করল কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট। সম্প্রতি উত্তুঙ্গ দূষণের মাত্রা দেখে শঙ্কিত দিল্লি সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানায়, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথেও যেতে পারে দিল্লি। রাজধানী সহ সম্পূর্ণ এনসিআরেই লকডাউন জারি করার ভাবনার কথা আদালতে জানায় সরকার। এই পরিস্থিতিতেই কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের এই নির্দেশ । তাদের নির্দেশ - 



  • দিল্লির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে চালু থাকবে মাত্র পাঁচটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

  • ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাকি ৬টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ

  • ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সব নির্মাণ এবং ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে হবে

  • রবিবার পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য মালবাহী গাড়ির প্রবেশ নিষেধ

  •  ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরামর্শ

    আরও পড়ুন:

    দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ফের ছাড়াল ১০ হাজার, অ্যাক্টিভ কেস ৫২৭ দিনে সর্বনিম্ন


     

    দীপাবলির পর থেকে দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। দিনের বেলাতেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে! এটাই দূষিত দিল্লির ছবি! ধোয়াঁশার চাদরে ঢেকে গিয়ে রাজধানী। দূষণ কমাতে আগেই লকডাউনের কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরের শুনানির আগে দিল্লি সরকার সোমবার সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানায়,  তারা লকডাউন করতে প্রস্তুত। তবে, দূষণ কমাতে হলে শুধু দিল্লিতে লকডাউন করলেই চলবে না, গোটা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন বা NCR’এ লকডাউন করতে হবে। 

    পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানান,  দূষণ কমাতে লকডাউনে সায় দেয় কেন্দ্রীয় সরকারও। মোদি সরকারের তরফে, সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জেরে দূষণের পরিমাণ সামান্য। সামগ্রিক দূষণের, মাত্র ১০ শতাংশই এর জন্য দায়ী। দূষণ কমাতে, সুপ্রিমকোর্টে তিনটি প্রস্তাব দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেগুলি হল, 




  • জোড়-বিজোড় ফর্মুলায় গাড়ি চলাচল।




  • দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশ আপাতত বন্ধ রাখা হবে।




  • সবশেষে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবে লকডাউনের কথাও বলা হয়। 
    এই পরিস্থিতিতে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত দিল্লির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল, জারি করল কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট।