নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য সপ্তাহান্তে দিল্লিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে এই কড়াকড়ি। গতকাল কার্ফুর প্রথম দিন করোনাবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ৩৮৪টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। ১,৪৮৪ জনকে চালান দেওয়া হয়েছে।


গতকাল দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের বেশি। আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও, আতঙ্কের কারণ নেই। লকডাউন জারি করা হচ্ছে না। 





শুক্রবার রাত ১০টা থেকেই দিল্লিতে সপ্তাহান্তের কার্ফু জারি হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকছে। দিল্লিতে এর আগেই নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে আরও কড়াকড়ির পথে হেঁটেছে দিল্লি সরকার। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সপ্তাহান্তে সাধারণ মানুষের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। কারও বাড়ির বাইরে যেতে হলে ই-পাস দরকার। আজ সপ্তাহান্তে কার্ফুর দ্বিতীয় দিন। সারাদিন অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সবই বন্ধ ছিল। রাস্তায় সারাদিন খুব কমই গাড়ি দেখা গিয়েছে। সব দোকান-বাজারই বন্ধ ছিল।


দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য বিধিনিষেধ কার্যকর করার বিষয়ে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। সব গাড়িকেই দাঁড় করিয়ে জেরা করছেন পুলিশকর্মীরা। শুধু জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা বাড়ির বাইরে গিয়েছেন এবং যাঁরা অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষের বেশি। সারা দেশের মতো দিল্লিতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। সবাই যাতে করোনাবিধি মেনে চলেন, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।


দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাল রাজ্য সরকার দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করবে। দিল্লির উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গেও বৈঠক করবে রাজ্য সরকার। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লি সরকার সংক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর। তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।