ফারুকের অভিমত, ভারতের সংবিধানেই ৩৭০ ধারার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। ক্ষোভের সুরে ফারুক জানান, তিনি বাধ্য হয়ে ‘দরজা ভেঙে বেরিয়ে’ মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, একনায়কতন্ত্রী শাসন কায়েম হয়েছে। ওরা যে গণতান্ত্রিক কর্তৃত্ব চালু করবে বলে আমরা ভেবেছিলাম, তা হয়নি। আমি জানি না, কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে আসা-যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, আমরা গৃহবন্দি হয়ে রয়েছি।
আজ লোকসভায় এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ফারুক সভায় তাঁর পাশেই বসেন, কিন্তু আজ তিনি সভায় নেই, তাঁর গলা শোনা যাচ্ছে না। ফারুক অসুস্থ কিনা, জানতে চান সুলে। অমিত শাহ জানান, আমি তো চিকিত্সা করতে পারি না, ডাক্তাররাই বলতে পারবেন।
অমিত শাহের বক্তব্যের পাল্টা ফারুক বলেন, ফারুক আবদুল্লা স্বাধীন, নিজের ইচ্ছেতেই বাড়িতেই আছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বিবৃতি শুনেছি। কী করে তিনি এমন বলতে পারেন, যখন আমার বাড়ির বাইরে একজন ডিএসপি মোতায়েন রয়েছেন, কেউ ঢুকতে বা বেরতে পারছে না।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের নিন্দা করে ফারুক আরও বলেন, ওরা এলাকা ভেঙেছে? হৃদয়ও ভেঙে টুকরো করবে? হিন্দু, মুসলিমদেরও ভাগ করবে? আমি জানতাম, আমার ভারতবর্ষ সকলের, যারা ধর্মনিরপেক্ষতা, ঐক্যে বিশ্বাসী, তাদের প্রত্যেকের। ৭০ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আসার পর আজ আমাদের অপরাধী মনে করা হচ্ছে।
৮১ বছরের ফারুক বলেন, তিনি শুধুমাত্র তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির গ্রেফতারির খবর জানেন, তাও মিডিয়ার মাধ্যমে। কোনও লিখিত অর্ডার নেই বটে, তবে আমাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা আইনে বিশ্বাসী, পাথরবাজ বা হত্যাকারী নই। কখনই বন্দুকের রাস্তায় হাঁটিনি। সবসময় মহাত্মা গাঁধীর পন্থা নিয়েছি। তবে কেন এমনটা করা হল, কী প্রয়োজন ছিল?
ভালই আছেন। উনি বাড়ির বাইরে বেরতে না চাইলে তো বন্দুকের মুখে নিয়ে আসা যায় না! কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর কাশ্মীর সংক্রান্ত বিল নিয়ে বিতর্কের সময় ফারুকের অনুপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালে এ কথা বলেন অমিত শাহ।