শনিবার কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলা থেকে গ্রেফতার হন দেবেন্দ্র। তাঁর সঙ্গে একই গাড়িতে ছিল কুখ্যাত জঙ্গি নাভিদ বাবা ওরফে বাবর আজম ও আসিফ আহমেদ। গাড়ি চালাচ্ছিল ইরফান আহমদ মীরা নামে এক ব্যক্তি। সে চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাভিদের বিরুদ্ধে ১১ জনকে খুন করার অভিযোগ আছে। এই কুখ্যাত জঙ্গির কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের চণ্ডীগড়ে নিরাপদ আস্তানায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন দেবেন্দ্র। এমনই জানিয়েছেন কাশ্মীরের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বিজয় কুমার। দেবেন্দ্রকে জেরা করছেন আইবি, র ও সামরিক বিভাগের গোয়েন্দারা। তিনি জঙ্গিদের কীভাবে সাহায্য করছিলেন, সেটি জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
দেবেন্দ্রর বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা, একটি একে-৪৭ রাইফেল, দু’টি পিস্তল ও দু’টি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরেই শীতকালে জঙ্গিদের জম্মুতে নিরাপদ আস্তানায় লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করছিলেন তিনি। এর বিনিময়ে তিনি মোটা অর্থ পাচ্ছিলেন। সংসদে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আফজল গুরুও দেবেন্দ্রর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিল। তখন অবশ্য সেই অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরবর্তীকালে এই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এরপরেই গোয়েন্দারা নড়েচড়ে বসেন।