এলাকায় লোকশ্রুতি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের ভাবনার বীজতলা এই কপালকুণ্ডলা মন্দির। শতাধিক বছর আগে এখানেই নাকি কপালকুণ্ডলা নামে এক নারী বলির হাত থেকে বাঁচিয়েছিল এক যুবককে। সেই থেকে কপালকুণ্ডলা মন্দিরে কালীপুজো হয়ে আসছিল।
২০১১-তে মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরের কালীমূর্তি। মন্দির সংস্কারে খরচ হয় ২৬ লক্ষ টাকা। ২০১৩ সালে বলা হয়, মন্দির সংস্কারের কাজ শেষ। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে মন্দিরের ছাদ ফেটে জল পড়তে শুরু করে। খসে পড়তে থাকে চাঙড়।
তারপর থেকে এতদিন কেটে গেলেও রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। স্থাপন করা হয়নি কালীমূর্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংস্কারে অনেক ফাঁক রয়েছে। যার ফলে এই পরিস্থিতি। দ্রুত মন্দির সংস্কার ও মূর্তি স্থাপনের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
তৃণমূল নেতা তথা কাঁথি ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির দাবি, দ্রুত মন্দির সংস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে।কাঁথি ২ নং ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ জানা জানালেন, মন্দির সংস্কারের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি। পাথরের একটি মূর্তি বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু তা ব্যয়সাধ্য তাই সময় লাগছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মন্দিরের কালীমূর্তি আপাতত রয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হেফাজতে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসের সঙ্গে জড়িয়ে এই মন্দিরের নাম। তাই বহু পর্যটকই আসেন কালীপ্রতিমা দর্শনে। কিন্তু শূন্য মন্দির দেখেই এখন ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।