নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করল কংগ্রেস। তাদের দাবি, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সংসদে জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। শেষমেষ এই প্রকল্পের ফল হবে টাকা পাচার ও রাজনৈতিক দলগুলিকে অর্থ সাহায্য সংক্রান্ত যেটুকু স্বচ্ছতা রয়েছে, তা এর ফলে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে অভিযোগ করেছে তারা।


আজ সংসদের জিরো হাওয়ারে নির্বাচনী বন্ড ইস্যুটি তোলেন কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি। ঠিক ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের নির্দেশে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি এসেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তথ্য জানার অধিকার আইনে দেখা যাচ্ছে, সরকার সিবিআই ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অমান্য করে এই বন্ড চালু করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। কংগ্রেসের কপিল সিবালের মতে, নির্বাচনী বন্ড রাজনৈতিক ঘুষ ছাড়া কিছু নয়। আগে এই বন্ড সীমিত ছিল শুধু নির্বাচনের জন্য। কিন্তু বিজেপি দুর্নীতিকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে, সিস্টেমের মধ্যে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। তারা বিলিয়ন ডলার পার্টি হতে চায় তাই হাউডি মোদী-র মত অনুষ্ঠান করে। তাদের কাজের পদ্ধতি হল, কিছু সংস্থার লাভ করিয়ে দিয়ে বদলে দলের জন্য টাকা তোলা। অভিযোগ করেছেন সিবাল।

নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের মাধ্যমে যে কোনও নাগরিক তাঁর পছন্দের দলের বন্ড কিনতে পারেন, তাঁর প্রদত্ত টাকা জমা পড়বে পার্টির কোষাগারে। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। অভিযোগ করেছে, এই প্রকল্প অনুযায়ী অর্থদাতা নিজের পরিচয় গোপন রাখতে পারবেন। অথচ কোনও রাজনৈতিক দল কোথা থেকে টাকা পেল সে ব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখনই হস্তক্ষেপ করুন যাতে অর্থদাতা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সকলের সামনে আনা হয়। বিজেপি সংসদে জানাক, কারা তাদের কোষাগারে কোটি কোটি টাকা দেয়। এইভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে বড় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তোলার চেষ্টা হচ্ছে বলে রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেছেন।