নয়াদিল্লি: বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদের মধ্যেই লোকসভার পর আজ রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল নির্বাচনী আইন (সংশোধন) বিল ২০২১। আধারের সঙ্গে ভোটার আইডি-র সংযুক্তিকরণের কথা বলা হয়েছে এই বিলে।


গতকাল লোকসভায় পাশ হয় এই বিল। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি এই বিলের বিরোধিতা করে। তবে তা সত্ত্বেও বিল পাশ করতে সমস্যা হয়নি সরকার পক্ষের। এরপর আজ রাজ্যসভায় পেশ করা হয় বিলটি। বিরোধী দলগুলি দাবি করে, বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর বিষয়ে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করতে হবে। তারা এ বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করে। তবে ধ্বনিভোটে এই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। এরপর কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বাম দলগুলি, ডিএমকে, এনসিপি-র সাংসদরা প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করেন। বিজেপি, জেডি(ইউ), ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি, বিজেডি নির্বাচনী আইন (সংশোধন) ২০২১ বিলটি সমর্থন করেন। ফলে বিলটি পাশ হয়ে যায়। যাঁরা বিলটি সমর্থন করেছেন, তাঁদের দাবি, এর ফলে জাল ভোট আটকানো যাবে।


সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, বিলটি সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়ে যাওয়ার ফলে এবার আইনে পরিণত হওয়া সময়ের অপেক্ষা। এই বিলে বলা হয়েছে, ভোটারের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আধার নম্বর ব্যবহার করা হবে। লিঙ্গসমতা যাতে বজায় থাকে, সে বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


বিরোধীদের অবশ্য দাবি, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে সরকার। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দাবি, মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করবে এই বিল।


নির্বাচনী আইন (সংশোধন) বিল ২০২১-এ বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি উপযুক্ত কারণ দর্শাতে পারেন, তাহলে আধার না থাকার কারণে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করার আবেদন খারিজ করা যাবে না। আধিকারিকরা ধার নম্বর দেওয়ার অনুরোধ করতে পারেন। ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম আছে, পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁদের কাছ থেকেও আধার নম্বর চাইতে পারেন আধিকারিকরা। তবে কাউকে জোর করা যাবে না। আধার না থাকলে অন্য কোনও নথি দেখানো যাবে।