একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে দেশের অর্থনীতির বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে প্রভাকর লিখেছেন, ‘গত ২৫ বছরে মনমোহন সিংহ ও নরসিংহ রাওয়ের নীতির খুব একটা বদল হয়নি। কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্মৃতি থেকে রাওয়ের কথা মুছে ফেলে নেহরুবাদী সমাজতন্ত্র প্রয়োগ করা হয়। তবে ১৯৯১ সালে মনমোহন যে যুগান্তকারী নীতি গ্রহণ করেছিলেন, সেটি এখনও পর্যন্ত ধরে রেখেছে কংগ্রেস। ২০০৪ সালে মনমোহনকে প্রধানমন্ত্রী করা থেকে পিছপা হয়নি কংগ্রেস।’
দেশের আর্থিক মন্দা নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করে অর্থমন্ত্রীর স্বামী লিখেছেন, ‘জিডিপি-র হার কমে যাওয়া, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, রফতানি কমার সমস্যা এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বেহাল অবস্থার উন্নতির জন্য সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক কারণে নেহরুবাদী মডেলের সমালোচনা করাই বিজেপি-র আর্থিক আদর্শ। বিজেপি প্রতিষ্ঠার পর কয়েকমাসের বেশি গাঁধীর সমাজতন্ত্রের প্রশংসা শোনা যায়নি। বিজেপি মূলত নেতিবাচক আর্থিক নীতি নিয়ে চলছে। বিজেপি-র নিজস্ব আর্থিক নীতি কী, সেটা জানা যায়নি। দলের সর্বোচ্চ স্তরে দেশের আর্থিক অভিমুখ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।’
আর্থিক নীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পাশাপাশি প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীরও সমালোচনা করেছেন প্রভাকর। তিনি লিখেছেন, ‘বাজপেয়ী সরকারের কল্পনাশক্তির অভাব ছিল। সেই আমলে আর্থিক নীতিতে বিশেষ কোনও প্রভাব পড়েনি। ‘ইন্ডিয়া শাইনিং’ নিয়ে দলে যে প্রচার চালিয়েছিল, সেটা ভোটারদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বর্তমান নেতৃত্ব সে বিষয়ে অবগত। কিন্তু ক্ষমতায় ফেরার জন্য আর্থিক ক্ষেত্রে ভাল কাজের বদলে জাতীয়তাবাদ, নিরাপত্তা, পেশির রাজনীতি বেছে নেওয়া হয়েছে।’