মুম্বই: ২০১০-এ তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারত সফরে এলে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি মতামত আদানপ্রদানের জন্য যে গুটিকয়েক ‘প্রগতিশীল কৃষক’কে বাছাই করেছিল কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক, সঞ্জয় শাঠে তাঁদেরই একজন। ৮ বছর বাদে ফসল বেচে লাভের দাম না পেয়ে মার খেয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ নাসিকের এই পেঁয়াজ-চাষি। কেজিতে এক টাকার কিছু বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে পাওয়া সামান্য অর্থ প্রতিবাদস্বরূপ তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, এই মরসুমে ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ ফলিয়েছি। কিন্তু গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে দর পেয়েছি কেজিতে ১ টাকা। শেষ পর্যন্ত দর কষাকষি করে কেজিতে ১ টাকা ৪০ পয়সা দামে সব পেঁয়াজ বেচে ১০৬৪ টাকা পেয়েছি। চার মাসের পরিশ্রমের পর এই সামান্য কটা টাকা পাওয়া যন্ত্রনাদায়ক। তাই প্রতিবাদ জানাতে পুরো অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠিয়ে দিয়েছি। মানি অর্ডার করে পাঠাতে বাড়তি ৫৪ টাকা দিতে হয়েছি। কোনও রাজনৈতিক দলেই আমি নেই। কিন্তু আমাদের দুর্দশার প্রতি সরকারি নিস্পৃহতা সহ্য করতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে ৫০ শতাংশ পেঁয়াজ উত্পাদন হয় উত্তর মহারাষ্ট্রের নাসিকেই।
ওবামার সঙ্গে পুরানো সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, বহুদিন ধরেই আমি কন্ঠস্বর নির্ভর একটি পরামর্শদানকারী পরিষেবা ব্যবহার করছি যেখানে আমি ওদের ফোন করে আবহাওয়া বদল সম্পর্কে খবরাখবর জেনে নিই। এতে ফসল উত্পাদন বাড়াতে সুবিধা হয়েছে। আকাশবানীর স্থানীয় বেতারে আমাকে ডাকা হয়েছিল নিজস্ব অভিজ্ঞতা বলার জন্য। তাই কৃষিমন্ত্রক আমায় ওবামার সফরকালে মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে একটা স্টল দেওয়ার জন্য বাছাই করেছিল। দোভাষীর মাধ্যমে কয়েক মিনিট ওনার সঙ্গে কথা বলেছিলাম।