ফিরোজাবাদ: ৬ মাস আগে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়া তো দূর, আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই মেয়েটির বাবাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই ইন্সপেক্টর ও একটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।


ফিরোজাবাদের পুলিশ সুপার সচিন্দ্র পটেল জানিয়েছেন, ‘মৃত ব্যক্তির নাম রাজীব কুমার। সোমবার রাতে তিলক নগরে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে একটি সরকারি ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তর সন্ধানে পুলিশের পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর কর্তব্যে গাফিলতির জন্য শিকোহাবাদ ও উত্তর কোতোয়ালির ইন্সপেক্টর এবং একটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’

আগরার ইন্সপেক্টর জেনারেল সতীশ এ গণেশ জানিয়েছেন, এর আগে এই ঘটনায় অভিযুক্তর সন্ধান দিতে পারলে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই পুরস্কারের অর্থ বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ মাস ধরে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। কয়েকমাস আগে ফোন করে মেয়েটির মাকে ফোন করে হুমকি দেয় অভিযুক্ত।

মেয়েটির জেঠু জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার পকসো আইনে ধর্ষণের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। শুনানির সময় আদালতে হাজির থাকার জন্য সোমবার রাতে আসছিল আমার ভাই। কিন্তু ওকে গুলি করে মারা হল।’