আদালতের এই কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তিনি বলেন, ‘আমি দেড় বছর ধরে এখানে আসছি। অপরাধীরা কবে আইনি সহায়তা নেবে, তার অপেক্ষায় আছি। তবে আমি নির্যাতিতার মা, আমারও কিছু অধিকার আছে। আমি অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করার আর্জি জানাচ্ছি।’ এরপর আদালত জানায়, শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। সে কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত ছেড়ে চলে যান আশা দেবী।
গতকাল সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই মামলায় অপরাধীদের ফাঁসির নতুন দিন ঘোষণার জন্য নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে সরকার। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষও স্টেটাস রিপোর্ট দিয়ে জানায়, দিল্লি হাইকোর্ট সাতদিন সময় দিলেও, চার অপরাধী পবন, মুকেশ কুমার সিংহ, বিনয় কুমার শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুর কোনও আইনি সহায়তা নেয়নি। এরপর আজ নিম্ন আদালতে ফের শুনানি হয়। কিন্তু সেখানেও কোনও রায় দেওয়া হল না।
এর আগে গত শুক্রবার নিম্ন আদালত দিল্লি সরকার ও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের আর্জি খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির নতুন দিন জানাতে অস্বীকার করে। কারণ হিসেবে আদালত জানায়, গত বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট অপরাধীদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। কিন্তু আজও কোনও রায় দিল না নিম্ন আদালত। এর আগে দু’বার ফাঁসির দিন ঠিক হওয়ার পরেও সাজা কার্যকর হয়নি। কবে ফাঁসি হবে, সেটা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারব্যবস্থার জটিলতা নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে।