কোচি: পেশায় দিনমজুর। পরিবারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। তারই মধ্যে লটারির টিকিট কাটার নেশা ছিল কেরলের আদিবাসী দিনমজুর পি রাজনের (৫৩)। এই নেশা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হত। কিন্তু এই নেশাই যে জীবন বদলে দেবে, সেটা কল্পনাও করতে পারেননি রাজন। সম্প্রতি লটারিতে তিনি ১২ কোটি টাকার বাম্পার পুরস্কার জিতেছেন।


রাজন জানিয়েছেন, ‘ব্যাঙ্ক থেকে আমি তিনবার ঋণ নিয়েছিলাম। সেই ঋণের সুদের টাকা দিতে পারছিলাম না। সেই কারণে ফের ঋণ নিতে ব্যাঙ্কে যাই। কিন্তু ব্যাঙ্কের ম্যানেজার আমার আবেদনে সাড়া দেননি। ফেরার পথে অভ্যাসবশত ৩০০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কাটি। সোমবার সেই লটারি বিজেতাদের টিকিটের নম্বর ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আমি সেদিন নম্বর মেলাতে যাইনি। মঙ্গলবার বিকেলে একটি দোকানে গিয়ে দেখি, আমার কেনা টিকিট এসটি২৬৯৬০৯ প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। আমি ১২ কোটি টাকা জিতেছি। বাড়ি ফিরে যখন স্ত্রীকে এই কথা জানাই, ও প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাইছিল না। ও ভাবছিল আমি মজা করছি। প্রতিবেশীরা যখন বাড়িতে এসে আমাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করে, তখন আমার স্ত্রীর বিশ্বাস হয়।’

রাজন আরও জানিয়েছেন, ‘সরকারি কর ও এজেন্টের কমিশন বাদ দিয়ে আমি সাত থেকে আট কোটি টাকা হাতে পাব। এই টাকা পাওয়ার পর প্রথমে সাত লক্ষ টাকা দেনা শোধ করতে হবে। তারপর বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করব। পরিবারে অভাব থাকায় আমার ছেলে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ছোট মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। গত বছর বড় মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে জমানো সব টাকা শেষ হয়ে যায়। এবার আর আমার পরিবারে কোনও অভাব থাকবে না।’