নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভার ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ কমিটির ডাকে হাজিরা দিল না ফেসবুক। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন আপ বিধায়ক রাঘব চাড্ডা। তিনিই গত সপ্তাহে ফেসবুক ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহনকে কমিটির কাছে হাজিরা দিতে বলেন। আজই ছিল সেই দিন। কিন্তু ফেসবুক কার্যত দিল্লির এই সমনকে উপেক্ষা করে গেল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা যেহেতু পূর্বেই একটি সংসদীয় প্যানেলের সামনে উপস্থিত হয়েছে তাই দিল্লি বিধানসভার কমিটির ডাকে তারা আর হাজির হবে না।


দিল্লি বিধানসভার ওই প্যানেলের অভিযোগ, ২০১৯ এ দিল্লি দাঙ্গার সময়ে ঘৃণা ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ফেসবুক তেমন সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেনি। বরং 'ইচ্ছাকৃতভাবেই' নিষ্ক্রিয় ছিল তারা। ওই কমিটি চেয়েছিল গত বছর দিল্লি দাঙ্গার জন্য ফেসবুককেও সহ-অভিযুক্ত করা হোক।

কিন্তু ফেসবুক প্যানেলের সমনের উত্তরে জানিয়েছে, এই মাসের শুরুতেই সংসদের একটি কমিটির সামনে হাজিরা দিয়েছে তাদের সংস্থা। তাই এই দিল্লি বিধানসভার কমিটির উচিত ওই সমন প্রত্যাহার করা।

আর তাতেই বেজায় চটেছে দিল্লি বিধানসভার ‘শান্তি ও সম্প্রীতি’ কমিটি। ফেসবুকের এই প্রতিক্রিয়াকে অবমাননাকর মনে করছে ওই কমিটি। চাধা জানিয়েছেন, ফেসবুক কী করে বলে, এই বিষয়টি বিধানসভার আলোচনার বিষয় নয়? দিল্লির দাঙ্গার বিষয়টি তো দিল্লিরই। আসলে এই বিষয়ে ফেসবুক তার ভূমিকা চেপে যেতে চাইছে। এবার ফেসবুককে চূড়ান্ত সতর্ক-বার্তা পাঠাবে প্যানেল।

এর আগে সংসদের তথ্যপ্রযুক্তির স্থায়ী কমিটি অজিত মোহনকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ব্যবসায়িক স্বার্থে ভারতে বিজেপি নেতাদের হিংসাত্মক ও উস্কানিমূলক পোস্ট নিয়ে হাত গুটিয়ে থাকার অভিযোগের, ফেসবুকের ভারতীয় শাখার জবাবদিহি চায় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ জন্য তাঁদের তলব করে শশী তারুরের নেতৃত্বাধীন কমিটি। ২ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসে এই স্থায়ী কমিটি।