মুম্বই: বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যার পিছনে আরএসএস-বিজেপির হাত থাকার অভিযোগ করায় রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন ধ্রুতিমান যোশী নামে এক আরএসএস কর্মী। সেই মামলায় আজ মুম্বইয়ের আদালত থেকে জামিন পেলেন রাহুল। ১৫,০০০ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। রাহুলের জামিনদার হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ একনাথ গায়কোয়াড়।


রাহুলের পাশাপাশি ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী এবং সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন ধ্রুতিমান। ইয়েচুরিও এদিন আদালতে হাজির হন। তাঁরও জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে রাহুল ও ইয়েচুরির বিরুদ্ধে মামলা চলবে। যদিও তাঁদের আদালতে হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।



এদিন মিলিন্দ দেওরা ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে আদালতে হাজির হন রাহুল। সেখানে জড়ো হয়েছিলেন বহু কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। তাঁরা রাহুলকে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানান। তাঁদের সে বিষয়ে কোনও আশ্বাস না দিলেও, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল বলেন, ‘আমার যা বলার ছিল, সেটা গতকালই বলে দিয়েছি। (আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে) আমার লড়াই চলবে। গত পাঁচ বছরে যে লড়াই করেছি, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তি নিয়ে লড়াই করব।’

মহাত্মা গাঁধী হত্যার সঙ্গে আরএসএসের যুক্ত থাকার অভিযোগ করায় রাহুলের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রে আরও একটি মামলা চলছে। ২০১৪ সালে সেই মামলা দায়ের করেছিলেন রাজেশ কুন্তে। ঠানের আদালতে সেই মামলা এখনও চলছে।