কলকাতা: একসপ্তাহ ধরে ICCU-তে কাটানোর পরে শেষ হল জীবনের সঙ্গে লড়াই। সকলকে চির বিদায় জানালেন বঙ্গ রাজনীতির চিরসবুজ ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তৃণমূলের (TMC) বর্ষীয়ান নেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দলের নেতা, কর্মী, সহকর্মীরা। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, "মমতাদি এই খবর শুনে আসতে আসতেই ভেঙে পড়েছিলেন। বলছিলেন অনেক ঝড় ঝাপটা দেখেছি। কিন্তু ঝড় আমার জীবনে অনেক ক্ষতি এনে দিল। " এরপরই তিনি বলেন, "সহকর্মী হিসেবে ওঁকে হারানো অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা মর্মাহত।"


এদিন হাসপাতালে এসেছিলেন তৃণমূলের প্রথ সারির নেতারা। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশিষ কুমাররা। অরূপ বিশ্বাস জানান, আমাদের জীবনে এ এক ঝড়। বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি।" দেবাশিষ কুমার বলেন, "আজ আলোর উৎসবে আমাদের দলে অন্ধকার নেমে এল।" 


সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা শুনেই বাড়ির কালীপুজো ছেড়ে হাসপাতালে ছুতে আসেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দেন, "সুব্রতদার শেষ যাত্রায় আমার থাকা সম্ভব নয়। সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।"  


৭৫ বছর বয়সে এসএসকেএম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। এদিন রাত ৯টা ২২মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। পঞ্চায়েতমন্ত্রী (Panchayet Minister) সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে দেখতে এসএসকেএমে (SSKM) গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।


হাসপাতালের বাইরে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে ম্রিয়মাণ দেখায়। মমতা বলেন, "আমি অনেক দুর্যোগ দেখেছি। কিন্তু সুব্রতদার মৃত্যু আমার কাছে অনেক বড় দুর্যোগ। আমি কিছু বলার মত পরিস্থিতিতে নেই। এত হাসিখুশি একজন মানুষ। পরিবার, নিজের বিধানসভা কেন্দ্র, দল, ক্লাব অন্তঃ প্রাণ একজন মানুষ। আর কেউ এমন হবে না। আমি গোয়া থেকে ফিরেই হাসপাতালে আসি। সেদিনও আমার সঙ্গে দেখা হল, হাসল। বলল আমি আবার জেলায় জেলায় যাব। সন্ধ্যেয় বলল ভাল আছেন। কালকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই বিরাট হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল। কিছু করা গেল না।"