আহমেদাবাদ: এনসিপি-তে যোগ দিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শঙ্করসিন বাঘেলা। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের উপস্থিতিতে তিনি দলে যোগ দিলেন। তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। পাওয়ার বলেছেন, বাঘেলার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, গুজরাতে তাঁর  জনভিত্তিকে ব্যবহার করবে দল। সেইসঙ্গে দলের জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারের জন্যও তাঁকে কাজে লাগানো হবে।


এনসিপি-তে যোগ দিয়ে বাঘেলা বলেছেন, বিজেপি শাসনকালে দেশে গণতন্ত্র আক্রান্ত। এই সময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এবং বিজেপি-বিরোধী শক্তিগুলির হাত মজবুত করতে তিনি এনসিপি-তে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে দলই সিদ্ধান্ত নেবে।

বাঘেলার এনসিপি-তে অন্তর্ভূক্তির ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা না হলে গুজরাতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা থাকবে। বর্তমানে গুজরাতের ২৬ লোকসভা আসনই বিজেপির দখলে রয়েছে।

২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতে আলাদা আলাদা লড়াই করেছিল কংগ্রেস ও এনসিপি। ১৮২ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় একটি আসনে জয়ী হয়েছিল এনসিপি।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঘেলা কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। তার আগে তিনি ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী বিধায়ক রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী আহমেদ পটেলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। তাঁর বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন।

পরে তিনি অবশ্য বিজেপিতে যোগ দেননি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের লড়াইতে নামিয়েছিলেন। তবে কেউই জয়ের মুখ দেখেননি।

বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরু বাঘেলার। ১৯৯৬-এ কেশুভাই পটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করায় তিনি বিজেপিতে ভাঙন ধরান। ১৯৯৬-তে বাইরে থেকে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। মনমোহন সিংহর আমলে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ও পরিষদীয় দলনেতাও ছিলেন তিনি।