কোচি: গরিবদের ‘ন্যূনতম আয়ের গ্যারান্টি’ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির পরদিনই কেরলে দলীয় কর্মীদের সভায় নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ রাহুল গাঁধির। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী গত পাঁচ বছরে নিজের ১৫ জন বন্ধুকে সর্বোচ্চ আয়ের গ্যারান্টি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উনি ১৫ জন ধনীকে সবচেয়ে বেশি আয়ের গ্যারান্টি দিতে পারলে আমরাও প্রতিটি নাগরিককে ন্যূনতম আয়ের গ্যারান্টি দেব। মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান আইনে যেমন কাজের অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে, তথ্যের অধিকার আইনে যেমন তথ্য জানার অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে, খাদ্য সুরক্ষা বিলে যেমন খাদ্যের অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে, তেমনই কংগ্রেস সরকার প্রতিটি গরিব ভারতীয়ের ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেবে।
মোদি সরকারের নীতিকে আক্রমণ করেও তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষকের জন্য কিছুই করেননি, কংগ্রেস সরকার তাদের কল্যাণ সুনিশ্চিত করবে বলে আশ্বাস দেন। বলেন, যে তিন রাজ্যে (রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়) আমরা জিতেছি, সেখানে কৃষিঋণ মকুব করা হয়েছে। আমরা শপথ নিয়েছি, ২০১৯ এ সরকার গড়লে ৫ বছরে কৃষকদের প্রতি মোদি যত অন্যায়, অপরাধ করেছেন, তা শুধরে দেব।
এছাড়া কংগ্রেস ভোটে জিতে সরকার গড়লে অগ্রাধিকার দিয়ে মহিলা বিল পাশ করাবে বলেও জানান রাহুল। বলেন, ২০১৯-এ নির্বাচনে জিতে প্রথম যে কাজটা আমরা করব, তা হল, সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল অনুমোদন করা হবে। দলের এক কর্মী ভোটে আরও মহিলাকে প্রার্থী করার প্রয়োজনীয়তার কথা বললে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আমরা মহিলাদের নেতৃত্বে দেখতে চাই। সংসদ ও বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার বিলটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে ঐকমত্যের অভাবে।
তবে শবরীমালা মন্দির ইস্যু নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট সব বয়সের মেয়েদের মন্দিরে ঢোকার দাবিতে সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সরব বিজেপি, আরএসএস, কেরল কংগ্রেসও। রাহুল বলেন, কংগ্রেস কেরলের মহিলাদের যেমন শ্রদ্ধা করে, তেমনই রাজ্যের ঐতিহ্যকেও সম্মান করে। এ নিয়ে বিজেপি, সিপিএমের হিংসা আমরা সমর্থন করি না।