করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেলেন জেলবন্দি প্রাক্তন আরজেডি সাংসদ সাহাবুদ্দিন

। তিনি তিহার জেলে বন্দি ছিলেন। তাঁকে গত মাসের ২৪ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

Continues below advertisement

নয়াদিল্লি:  করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। আজ সকালে দিল্লির হাসপাতালে মারা গেলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাহাবুদ্দিন। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লির আপ সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষকে কোভিড আক্রান্ত প্রাক্তন সাংসদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল। তাঁকে ডিডিইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

Continues below advertisement

একটি খুনের মামলায় সাহাবুদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি তিহার জেলে বন্দি ছিলেন। তাঁকে গত মাসের ২৪ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

তিহার জেলে হাই প্রোফাইল বন্দিদের কয়েকজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই তালিকায় রয়েছে গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের নামও।  সিঙ্গল সেলে বন্দি থাকা সত্ত্বেও ছোটা রাজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।           বিহারের প্রাক্তন বাহুবলী সাংসদ সাহাবুদ্দিনেরও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুর খবর নিয়ে প্রথমে সংশয় ছিল। এরইমধ্যে তিহার জেলের আইজি সন্দীপ গোয়েল আরজেডি-র প্রাক্তন প্রাক্তন আরজেডি সাংসদের মৃত্যুর খবর জানান।

সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে আরজেডি। দলের নেতা তেজস্বী যাদব ট্যুইট করে লিখেছেন, প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের অকালে মৃত্যুর খবর খুবই বেদনাদায়ক।  পরিবার ও পরিজনদের প্রতি সমবেদনা। তাঁর মৃত্যু দলের পক্ষে অপূরণীয় ক্ষতি। এই দুঃখের সময়ে আরজেডি পরিবার শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে রয়েছে।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও প্রাক্তন আরজেডি সাংসদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (সিএমও) জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন আরজেডি সাংসদের মৃত্যতে শোকপ্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিওয়ানের বিধায়ক ও সাংসদ ছিলেন।

অন্যদিকে, লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিনী আচার্য সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুর জন্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি সাহাবুদ্দিনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন।

২০১৫-র ডিসেম্বরে বিশেষ বিচারক হত্যার মামলায় সাহাবুদ্দিন ও তাঁর সঙ্গীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন।সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও অনেকগুলি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
তিহার জেলে যাওয়ার আগে সাহাবুদ্দিন বিহারের সিওয়ান ও ভাগলপুরের জেলেও বন্দি ছিলেন। ২০১৮-তে জামিনে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু সেই জামিন বাতিল হয়ে যায়। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট সিওয়ান থেকে তিহার জেলে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়।

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola