মুম্বই: করোনা লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে সরপরিবার ছুটি কাটাতে বেরনোর জন্য মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার মহাবালেশ্বর থেকে আটক করা হল আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দেওয়ান হাউসিং ফিনান্স লিমিটেড (ডিএইচএফএল) সংস্থার মালিকদের।


সূত্রের খবর, সংস্থার দুই কর্ণধার ধীরজ ওয়াধওয়া ও কপিল ওয়াধওয়া এবং পরিবারের একাধিক সদস্য সহ আরও ২০ জনকে মহাবালেশ্বরের একটি ফার্ম হাউস থেকে আটক করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ডিএইচএফএল কর্তার বিরুদ্ধে মহাবালেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে মহাবালেশ্বরেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ওয়াধওয়া পরিবারের সদস্যরা।





ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তা রানা কপূরের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয় মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ওয়াধওয়ারা। সিবিআই-এর দাবি, গত তিন সপ্তাহ ধরে বেপাত্তা ছিলেন ওয়াধওয়ারা। গত মাসে ডিএইচএফএল সংস্থার মালিকদের ডেকে পাঠায় ইডি। সেসময় করোনার কারণে উপস্থিত হতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন ডিএইচএফএল কর্তারা।





এদিকে, ওয়াধওয়া পরিবারকে লকডাউন উপেক্ষা করে খান্ডালা থেকে মহাবালেশ্বরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ায় বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হল মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ প্রধান সচিব (স্বরাষ্ট্র) অমিতাভ গুপ্তকে। ওই পরিবারের ২৩ জন সদস্য কীভাবে লকডাউন চলাকালীন খান্ডালা থেকে মহাবালেশ্বরে যাওয়ার অনুমতি পেলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।





এদিকে, এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশমুখের পদত্যাগ দাবি করে দলীয় নেতা কীরিট সোমাইয়া অভিযোগ করেন, এই সরকারের ছত্রছায়ায় এতদিন আত্মগোপন করে রয়েছে ওয়াধওয়ারা। আরেক নেতা রাম কদম বলেছেন, শিবসেনাকে উত্তর দিতে হবে, কার নির্দেশে প্রধান সচিব ওই অনুমতি-পত্র জারি করেছেন।