মুম্বই: স্বামী ও স্ত্রী-উভয়েরই স্বপ্ন ছিল দেশের সেবা করা। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে এবার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চলেছেন প্রয়াত মেজর প্রসাদ গণেশের স্ত্রী। জীবনে স্বামীকে হারিয়ে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু মোটা মাইনের চাকরির ছেড়ে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে মরিয়া গৌরি প্রসাদ মহাদিক। এক বছরের  বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের পর তিনি কাজে যোগ দেবেন।

ভারত-চিন সীমান্তে অরুণাচলের তাওয়াংয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন সেনার মেজর প্রসাদ। ব্যারাকে আগুন লেগেছিল।

দ্বিতীয়বার প্রচেষ্টায় বিধবাদের জন্য বরাদ্দ তালিকায় সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছেন গৌরি প্রসাদ। এখন তিনি অফিসার্স ট্রেনিং অকাডেমিতে যোগ দেওয়ার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ৪৯ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিতে হবে তাঁকে। এক বছরের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের পর ৩১ বছরের গৌরি প্রসাদকে লেফটেন্যান্ট হিসেবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে।

এসএসবি পরীক্ষায় ১৬ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম হন গৌরি প্রসাদ।

গৌরি প্রসাদ বলেছেন, তিনি যোগ্যতাসম্পন্ন আইনজীবী ও কোম্পানি সেক্রেটারি। তিনি চাকরিও করতেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর চাকরি ছেড়ে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তিনি বলেছেন, স্বামীকে শ্রদ্ধা জানাতে আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে দৃঢ়সংকল্প ছিলাম। কাজে যোগ দেওয়ার পর যে উর্দি আমি পরব, তা হবে আমাদের...আমার এবং আমার স্বামীর।

গৌরি প্রসাদ ২০১৫-তে প্রসাদ গণেশকে বিয়ে করেছিলেন। এখন বিরার (পশ্চিম)-এ শ্বশুরবাড়িতে থাকেন তিনি।