সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ত্রাণ বিলি করতে গিয়েছিলেন আফ্রিদি। সেখানেই বেনজির আক্রমণ করে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরালও হয়েছিল। সে দিন ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আফ্রিদি বলেন, "ভারতের দখলে থাকা কাশ্মীরের বেশিরভাগ মানুষই পাকিস্তানের পক্ষে। জোর করে ওই এলাকা দখল করে রেখেছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধর্মের রাজনীতি করছেন। ওঁর মস্তিষ্কে করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর রোগ আছে।"
এতেই ফুঁসে ওঠেন গৌতম গম্ভীর। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "১৬ বছরের বাচ্চা ছেলে শাহিদ আফ্রিদি বলছে, পাকিস্তানের ৭ লক্ষ সেনা জওয়ান রয়েছে। ২০ কোটি মানুষ রয়েছে সে দেশে। সেই দেশই আবার ৭০ বছর ধরে কাশ্মীরের পিছনে পড়ে থেকে ভারতের কাছে ভিক্ষা চেয়েই চলেছে। আফ্রিদি, ইমরান খান এবং বাজওয়ার মতো মানুষ পাকিস্তানের লোকজনকে বোকা বানাতে নরেন্দ্র মোদির নামে বিষ ছড়াচ্ছে। তবে জেনে রাখা ভাল, কাশ্মীর ওঁরা কোনও দিনই পাবে না। বাংলাদেশের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই?"
তবে শুধু গম্ভীর একাই নন। আফ্রিদির মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ ভারতের প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিংহও। এই ভাজ্জিই কয়েকদিন আগে যুবরাজ সিংহের সঙ্গে মিলে আফ্রিদির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় মানুষজনকে অনুদান দিতে আবেদন করেছিলেন। এদিন ভাজ্জি ট্যুইট করেন, "আফ্রিদি যা বলছে, তা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমাদের দেশ আর দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বাজে কথা বলাটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। ও আমাদের বলেছিল বলেই ওঁর সংস্থার হয়ে প্রচার করি আমরা। ওঁর একটা কথাতেই সাহায্য করি। তা বলে ওঁর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। শাহিদের উচিত নিজের সীমার মধ্যে থাকা। ও বন্ধুত্ব করার যোগ্য নয়।"
আফ্রিদির সমালোচনায় সরব হয়েছেন যুবিও। ট্যুইট করেছেন, ‘মানবিকতার স্বার্থে তোমার আবেদনে সাড়া দিয়ে মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম। আর কখনও করব না। তবে খেলার মাঠে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসাবে কখনওই তোমার মন্তব্য মেনে নেব না। আমাদের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তোমার মন্তব্যে ভীষণ হতাশ হলাম। জয় হিন্দ।’